পুপে 4/5 (1)

শান্ত সমুদ্রের উপর দিয়ে ভেসে চলা জাহজের প্রথম শ্রেণীর কেবিনে লেখালেখিতে ব্যস্ত এক শুভ্রকেশ সৌম্য বৃদ্ধ। কিছুদিন আগে নোবেল পুরস্কার জয় করে তিনি বিলেতের  সাহিত্যজগতে আলোড়ন ফেলে দিয়েছেন।  বৃদ্ধের বয়স ৬৪। কিন্তু তাঁর লেখনি বারবার থেমে যাচ্ছে ৩ বছরের ছোট্টো এক  বালিকার অনর্গল আধো আধো কথায়। বালিকার কাছে এই জগৎবিখ্যাত মানুষটির কোনো দামই নেই। সে শুনতে চায় বাঘের গল্প। বৃদ্ধও হাঁপ ছেড়ে বাঁচলেন। কলমটলম ছেড়ে শুরু করলেন গল্প, এক যে ছিল বাঘ, তার সর্ব অঙ্গে দাগ

আমেরিকা ও জার্মানি থেকে কৃষি বিজ্ঞানে উচ্চশিক্ষা শেষ করে ৫ সেপ্টেম্বর ১৯০৯ সালে রথীন্দ্রনাথ কলকাতায় ফিরে এলে তাঁর বিয়ের তোড়জোড়  শুরু হয়। এই সময়ে রবীন্দ্রনাথ এক বৈপ্লবিক সিন্ধান্ত নিলেন। বিনয়নী দেবীর কন্যা বিধবা প্রতিমার সঙ্গে রথীন্দ্রনাথের বিয়ে দিলেন (২৭ জানুয়ারি ১৯১০)। এটি ঠাকুর পরিবারের প্রথম বিধবা বিবাহ। বিয়ের পরে রথীন্দ্রনাথ প্রথমে জমিদারির কাজে শিলাইদহ পরে শান্তিনিকেতনে গ্রামোন্নয়নের কাজে নিজেকে উজাড় করে দিলেন। প্রতিমা দেবীও কাঁধে তুলে নিলেন রবীন্দ্রনাথের স্বপ্নের আশ্রমের সব দায়িত্ব। দিন যায়, বছর যায়, নিঃসন্তান রথীন্দ্র-প্রতিমা নিজেদের কাজের মধ্যে ডুবিয়ে রাখলেন। এইভাবে কেটে গেল বাইশটা বছর।

১৯২১ সালে দামোদর চতুর্ভুজ নামে এক রবীন্দ্রানুরাগী ব্যবসায়ী তার রুগ্ন স্ত্রীকে নিয়ে শান্তিনিকেতনে বাস করতে এলেন । তাদের ঘরে এসেছে ডল পুতুলের মত ছোট্টো ফুটফুটে এক মেয়ে। শান্তিনিকেতন আশ্রমবাসীদের কাছে মিষ্টি দেখতে এই কন্যাটি ছিল সকলের আদরের পুতুল। চতুরর্ভুজের স্ত্রী যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত। সে কি করে করবে ছোট্টো মেয়েটির লালনপালন? প্রতিমা দেবী আবদার করলেন মেয়েটিকে তাঁদের হাতে তুলে দিতে। তিনি তাকে নিজের মেয়ের মত মানুষ করবেন। চতুর্ভুজ দম্পতির সম্মতি পেয়েই প্রতিমা দেবী কন্যাটিকে কোলে করে সবার আগে ছুটলেন রবীন্দ্রনাথের কাছে, কন্যাটিকে গ্রহণ করার অনুমতি চাইলেন। গুরুদেবও অনুমতি দিলেন। আদর করে তিনি নাম রাখলেন নন্দিনী (জন্ম ১৯২২), ডাকনাম হল পুপে বা পুষু। পুপে (Poupee) নামটি রবীন্দ্রনাথের ফরাসি বন্ধু আঁন্দ্রে কার্পেলেসের দেওয়া। তিনি তখন শান্তিনিকেতনে। ফরাসিতে পুপে কথার অর্থ পুতুল। এ ছাড়াও তার আরও যে কত ডাকনাম, পুপু, পুপসি, রূপসী, লালা – নামের যেন অন্ত নেই। রবীন্দ্রনাথ তাঁর ছোট্টো নতুন নাতনিটিকে অসম্ভব ভালোবাসতেন। তাকে নিয়ে রচনা করেছেন কত গান, কবিতা, গল্প আর ছড়া। পুপে রবীন্দ্রনাথের কর্মমুখর ব্যস্ত জীবনের এক মধুর অধ্যায়।

১৯২৩ সালের জানুয়ারি মাসে রবীন্দ্রনাথ বেনারস গিয়েছিলেন কাশী হিন্দু য়ুনিভার্সিটির কনভোকেশনে যোগ দিতে। রথী-প্রতিমা আর নন্দিনীও সেই যাত্রার সঙ্গী। ফেরার পথে মোগলসরাই স্টেশনে যত পুতুল দেখলেন, সব কিনে ফেললেন নাতনির জন্য। রবীন্দ্রনাথের মানসিকতা যেন এক চিরন্তন দাদুর, বার্ধক্যের দিনগুলিতে নাতিনাতনির সঙ্গ যাদের জীবনে ফিরিয়ে আনে ছেলেবেলার সুখের স্মৃতি।  

আদরের নাতনিকে ছেড়ে রবীন্দ্রনাথ যখনই শান্তিনিকেতনের বাইরে গিয়েছেন, তাঁর মন উতলা হয়ে উঠেছে ফিরবার জন্য। ছোট্টো নাতনিটিকে ছেড়ে তিনি বেশীদিন থাকতে পারতেন না । লিখেছেন, নাতনীরা আমার গ্রহ। তারা আধুনিক জ্যোতিষের নিয়ম ছাড়িয়ে গেছে- তারাই রবিকে নিজেদের চারিদিকে প্রদক্ষিণ করায়। অর্থাৎ আমার চেয়ে তাদের টানের জোর বেশী১৯২৩ সালে বিশেষ কাজে একবার বোম্বাই যেতে হয়েছিল। সেখান থেকে আঁন্দ্রে কার্পেলেসকে লিখেছেন, I am homesick. Longing to be among you all. Even Poupee’s absurd indifference towards me has its own peculiar fascination for myself. It is in the fitness of things that this little creature, with her flat nose and small mind, should have special preference for the old gardener and ignore a poet who belongs to the paradise of perpetual youth. আমরা দেখতে পাব একটি ছোট্টো শিশু কিভাবে ধীরে ধীরে এক কবিহৃদয়ে নিজের আসন বিছিয়ে নিয়েছিল।

১৯২৩ এর বৈশাখ মাস। সেবার শান্তিনিকেতনের অসহ্য গরমের থেকে একটু আরামের খোঁজে রবীন্দ্রনাথ শিলং চললেন, সঙ্গে পুপেও। সে সবে দাদা মামা বাবা বলতে শিখেছে। গান শুনলেই সে চঞ্চল হয়ে উঠত। আর রবীন্দ্রনাথের কোলে বসে হাত ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে গান শুনত। ‘আজু সব আমুয়া বোলে’ গানটা শুনে এত জোরে হাত পা ছুড়ত যে সবাই হেসে লুটোপুটি। রবীন্দ্রনাথ বলতেন বড় হয়ে ও ঠিক নাচ শিখবে। হয়েওছিল তাইই। রবীন্দ্রনাথের বহু নৃত্যনাট্যে অভিনয় আর নাচ করে দর্শকের প্রশংসা কুড়িয়েছিল নন্দিনী।

১৯২৪ সালের অক্টোবর মাস, রবীন্দ্রনাথ তখন প্যারিসে। লিখে চলেছেন গান আর কবিতা। সঙ্গে রথীন্দ্রনাথ, প্রতিমা আর নন্দিনী। নাতনীর সাহচর্যে রবীন্দ্রনাথের মনের কথা ধরা পড়েছে তাঁরই লেখায়, একটি ছোট্টো মেয়ে কোথা থেকে আমার যাত্রাপথে জুটে গেছে। তার বয়স আড়াই বছর। তার মধ্যে প্রাণের আনন্দ টলমল করে ওঠে, কত মধুর প্রলাপ, কত মন-ভোলানো ভঙ্গীতে; আমার মন বলে, মস্ত একটা পাওনা আমি পেলুম’। ছোট্ট শিশুটির সাহচর্য রবীন্দ্রনাথের মনে সুখের আবেশ বুলিয়ে দিত।  

সেই ভ্রমণেই পুপের জন্য লিখেছেন ‘কাছের থেকে দেয় না ধরা, দূরের থেকে ডাকে’ কবিতাটি। মীরা দেবীকে লিখেছেন আমার সঙ্গে পুপের ভাব কতটা জমেছে নীচের কবিতা থেকে কতকটা আভাস পাবি। এই সময় থেকে তিনি নাতনীকে তাঁর তিন বছরের প্রিয়া বলে সম্বোধন করতেন। বাঘের গল্পে পুপের ছিল সবচেয়ে বেশী আকর্ষণ। এজন্য রবীন্দ্রনাথকে একটা ছড়াও লিখতে হয়েছিল বাঘ নিয়ে ।

১৯২৪ সালের মার্চে চিন ভ্রমণের দিনগুলিতে নাতনীর বিরহে কাতর হয়ে রবীন্দ্রনাথ প্রতিমা দেবীকে লিখেছেন, পুপের কথা মাঝে মাঝে ভাবি। কিন্তু সে আমার বিরহে নিতান্ত কাতর হয়ে পড়েছে এমন মনে হয় না। তাকে মানে না মানা গান শোনাবার অনেক লোক জুটবে

য়ুরোপ থেকে ফেরার পথে ক্রাকোভিয়া জাহাজে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে ডাক্তারের  পরামর্শে রবীন্দ্রনাথ আর্জেন্টিনার বুয়েনোস আইরেসে নেমে পড়তে বাধ্য হন (৬ নভেম্বর ১৯২৪)। সেখানে ভিক্টোরিয়া ওকাম্পোর আতিথ্যে কিছুদিন ছিলেন। অসুস্থতার মধ্যেই চলেছে পূরবীর কবিতা রচনার ধারা। বিরহকাতর পুপের জন্য লিখলেন তৃতীয়া (কাছের থেকে দেয় না ধরা দূরের থেকে ডাকে) নামের কবিতাটি। চিকিৎসার জন্য প্রতিমা দেবী ফ্রান্সেই থেকে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে পুপে কাগজে হিজিবিজি দাগ কাটা চিঠি পাঠালো দাদুকে। রবীন্দ্রনাথও  এই সময় থেকেই নিজের লেখা গান বা কবিতার পাণ্ডুলিপির উপরে মোটা দাগ দিয়ে কাটাকুটি করে অলংকৃত করে ছবি আঁকা শুরু করেছিলেন। তাই পুপের চিঠি পেয়ে তিনি এতই খুশি, এতই চমৎকৃত যে উত্তরে প্রতিমা দেবীকে লিখলেন, পুপের চিঠি পেলুম। ভাগ্যি তোমরা ব্যাখ্যা করে দিয়েছ তাই ভাবার্থটা বোঝা গেল। ওর নাচ যেমন নিরর্থক ওর লেখাও তেমনি, হিজিবিজি  নৃত্য। এই হিজিবিজি বিদ্যায় আমারও শখ আছে, তোমরা জান

পুপের বয়স যখন তিন বছর, তখন থেকেই রবীন্দ্রনাথ তাকে ‘তিন বছরের প্রিয়া’ বলে সম্বোধন করতে শুরু করলেন। । ২০ ডিসেম্বর তাকে উদ্দেশ্য করে লিখলেন আর একটি কবিতা, বিরহিণী (তিন বছরের বিরহিণী জানলাখানি ধরে)। কবি কল্পনা করেছেন তাঁকে কাছে না পেয়ে, তাঁর গল্প শুনতে না পেরে ছোট্টো মেয়েটি বিরহে কাতর হয়ে জানলার কাছে দাদুর পথ চেয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

৪ ফেব্রুয়ারি ১৯২৫ বুয়েনোস আইরেসে  ত্যাগ করে রবীন্দ্রনাথ সপরিবারে ক্রাকোভিয়া জাহাজে দেশে ফিরে চললেন। এই সময়ে তিনি ডায়রিতে লিখেছেন, পৃথিবীতে আমার প্রেয়সীদের মধ্যে যিনি সর্বকনিষ্ঠ তার বয়স তিন। ইনিয়ে বিনিয়ে কথা বলতে তার এক মুহূর্ত বিরাম নেই। ঘুম-পাড়াবার আগে তার গল্প শোনাবার লোক চাই। আজকাল এই ক্ষুদ্র মহারানীর শয্যার পাশে আমার তলব হচ্ছে।  রাতে রবীন্দ্রনাথ নন্দিনীকে গল্প শুনিয়ে ঘুম পাড়াতেন। তার সবচেয়ে পছন্দ বাঘের গল্প। নানা সময়ে রবীন্দ্রনাথকে বাঘের গল্প শোনাতে হয়েছে। তার ফরমাশে লিখতে হয়েছে বাঘের ছড়া আর ‘সে’ নামের এক  কল্পকাহিনী, যেখানে ঝগড়ূ নামের এক বেহারা বাঘের আদেশে দেশবিদেশে সাবানের সন্ধানে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এই সাবানসন্ধানী বাঘের দেখা পাওয়া যায় ‘সাহিত্যতত্ব’ প্রবন্ধটিতেও।

১৯২৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কলকাতার বিচিত্রা হলে শেষ বর্ষণ নামে একটি গীতি আলেখ্য পরিবেশনার পরে রবীন্দ্রনাথ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এর পরে বহুদিন তাঁর লেখনি কাব্যরস বঞ্চিত ছিল। ফাল্গুন মাসে শান্তিনিকেতনে এসে আবার তাঁর মনে গানের স্রোত বইল।  সেখানে তিনি নন্দিনীর উদ্দেশে যখন আমি ঊর্ব্বশীরে করেছিলুম স্তব কবিতটি লেখেন ( সবুজপত্র পৌষ ১৩৩২ তে প্রকাশিত, কোনো কারণে কবিতাটি গ্রন্থভুক্ত হয়নি) । এছাড়াও একটি কৌতুকপূর্ণ ছড়াও লিখেছিলেন

১৯২৬ সালে অসুস্থ রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনে বিশ্রামে রয়েছেন। আদরের পুপের আধো আধো বুলি রবীন্দ্রনাথের মনে যে আনন্দের দোলা দিয়েছিল সেটাই প্রকাশ পেল ৪ এপ্রিলে লেখা অনেক কথা যাও যে বলে, কোনো কথা না বলি  গানের ভিতর দিয়ে। নাতনীর বয়স তখন ৪ আর দাদু ৬৪ বছরের শিশু। এছাড়াও ১৯২৬ সালে য়ুরোপ ভ্রমণের সময়ে ক্যালোন শহরে থাকবার সময়ে পুপের জন্য লিখলেন তুমি ঊষার সোনার বিন্দু গানটি (২৬ সেপ্টেম্বর), 

১৯২৮ সালের মে মাসে রবীন্দ্রনাথ য়ুরোপ যাওয়ার পরিক্ল্পনা ছিল, এজন্য মাদ্রাজের উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন কিন্তু অসুস্থতার জন্য যাওয়া হয়নি। একই সময়ে রথীন্দ্রনাথ সপরিবারে য়ুরোপ গিয়েছিলেন। ব্যর্থ-ভ্রমণের দুঃখের চাইতে নাতনীর অদর্শন রবীন্দ্রনাথকে বিরহকাতর করে তুলেছিল। নভেম্বর মাসে  রথীরা দেশে ফিরে এলে রবীন্দ্রনাথ আদরের নাতনীকে আবার কাছে পেয়ে মন খুশিতে ভরে উঠেছিল।  লিখেছেনথীরা এসে পৌঁচেছে। বাড়ি ভরে উঠল। পুপু একটুখানি লম্বা হয়েছে। অসম্ভব রকমের বাঘের সম্বন্ধে ওর ঔৎসুক্য পূর্বের মতই আছে।  …  দাদামহাশয়ের কাছে এসে বসে, যা মুখে আসে কোনো ভুমিকা না করে কথা শুরু করে দেয়

২২ আগস্ট ১৯২৫  সালে রবীন্দ্রনাথ একটি ট্রাস্ট ডিড অনুযায়ী নন্দিনীর বিয়ের জন্য পঁচিশ হাজার টাকার বরাদ্দ করা হয়েছিল। ৩০ ডিসেম্বর ১৯৩৯ সালে নন্দিনীর বিয়ে হল বোম্বাইয়ের বাসিন্দা অজিত সিং মোরারজি খাটাউ-এর সংগে। এই বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল শান্তিনিকেতনে। রথীন্দ্রনাথ এই বিয়েতে বিপুল আড়ম্বর আর অর্থব্যয় করেছিলেন, যা ছিল বিলাসিতার চুড়ান্ত এবং শান্তিনিকেতনের পক্ষে অত্যন্ত দৃষ্টিকটু। এই অপচয় আর কোলাহলে রবীন্দ্রনাথের সায় ছিল না, তিনি অত্যন্ত বিরক্ত হয়ে রথীন্দ্রনাথকে বলতে বাধ্য হয়েছিলেন যে ‘এসব জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে করলেই পারতে আমার আশ্রমে কেন’। যাইহোক আদরের নাতনীর বিয়েতে তিনি রাগ করে থাকতে পারেন নি। সেদিনই তিনটি সদ্যরচিত গান উপহার দিয়ে আশীর্বাদ করলেন নবদম্পতিকে।

(প্রেমের মিলনদিনে গানটির কথা প্রথমে শুরু হয়েছিল ‘দুজনের মিলনদিনে’, পরে মাঘোৎসবে গাইবার সময়ে রবীন্দ্রনাথ এটিকে ‘প্রেমের মিলনদিনে’ করে দিয়েছিলেন।)

এইভাবে রক্তের সম্পর্ক-বিহীন এক শিশু রবীন্দ্রনাথের মন পুরোপুরি দখল করে নিয়েছিল, যা পারেনি রক্তসম্পর্কের নাতনী মীরা দেবীর কন্যা নন্দিতা (জন্ম ১৯১৬ )। দুজনেই রবীন্দ্রনাথের নাতনি। কিন্তু নন্দিনী রবীন্দ্রনাথের জীবনে ও রচনায় যতটা স্থান অধিকার করেছে  নন্দিতা ততটা গুরুত্ব পায় নি। স্ত্রী মৃণালিনী দেবী আর কাদম্বরী ছাড়া রবীন্দ্রনাথ সম্ভবত আর কারও উদ্দেশে এত গান-কবিতা-ছড়-গল্প রচনা করেন নি।  

Please put your Comments in the box bellow

Please rate this

Join the Conversation

11 Comments

  1. পড়ে অনেক নতুন কিছু জানলাম। ধন্যবাদ।

  2. আবার ও বলি আপনার বদান্যতায় আমি কৃতজ্ঞ। কোনোরূপ কষ্ট না করে, লাইব্রেরি না গিয়ে জানার আনন্দ পাচ্ছি, আমি ভাগ্যবান।

    1. ধন্যবাদ। তবে আমিও কতকিছু জানতে পারছি প্রতিদিন, আর এগুলিই আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করে আনন্দ পাচ্ছি।

  3. তথ‍্যসমৃদ্ধ লেখা। সমৃদ্ধ হলাম। আপনাকে শ্রদ্ধা ও ধন‍্যবাদ।

  4. পুপে নামটি জানা ছিল। কিন্তু তার উৎস ও অর্থ জানা ছিল না। তথ‍্যের জন‍্য ধন‍্যবাদ। বাঘের ছড়াটিই পরবর্তীকালে “মোটা কেঁদো বাঘ”-এ পরিনত হয়েছে বোঝাই যাচ্ছে। কিন্তু যা বুঝলাম না তা হলো পুপের বাঘের প্রতি এই আকর্ষণ কেন ? সে কি চিড়িয়াখানায় বাঘ দেখেছিলো ? নাকি শুধু বাঘের ছবি দেখে ও গল্প শুনেই এই আকর্ষণ !

    1. সুন্দর মন্তবটির জন্য ধন্যবাদ। রবীন্দ্রনাথের কথা অনুসারে জানা যায় যে বইয়ের ছবি দেখেই পুপে বাঘের প্রেমে পড়ে গিয়েছিল। বাঘের গল্প ছিল তার অসম্ভব আকর্ষণ।

  5. মারোয়ারী দম্পতি ১৯২১এ আসলেন কন্যা সহ,কিন্তু কন্যার জন্ম ১৯২২বলা হচ্ছে। সালের হিসাবে অসঙ্গতি লাগছে,একটু বিশদে ……….

  6. গবেষণাধর্মী লেখা পড়ে অনেক নতুন কিছু জানলাম।

  7. পরবর্তী জীবন পুপের / নন্দিনীর কিভাবে কেটেছে?

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *