২৩ ডিসেম্বর ১৯১৮ সালে বিশ্বভারতীর বীজ বপন হয়েছিল শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথের উপস্থিতিতে বৈদিক আচার অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে। যদিও আনুষ্ঠানিক কাজ শুরু হয়েছিল আরও বছর তিনেক পরে ২৩ ডিসেম্বর ১৯২১ সালে প্রতিষ্ঠা উৎসবের দিন থেকে। বিশ্বভারতীর পঠনপাঠনের উন্নতির জন্য রবীন্দ্রনাথের ভাবনার অন্ত ছিলনা। তাঁর আহ্বানে পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদগণ নানা সময়ে বিশ্বভারতীতে অতিথি-অধ্যাপক হিসাবে যোগদান করেছেন। কবিগুরুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তাঁরা বিশ্বভারতীর বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে অংশ নিয়েছেন। অধ্যাপনা ছাড়াও শিল্প, কলা, গ্রাম উন্নয়ন, কৃষিকাজ, প্রান্তিক মানুষের শিক্ষা ইত্যাদি নানা কাজে রবীন্দ্রনাথের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। যে কয়দিন তাঁরা এখানে ছিলেন সকলকে আপন করে নিয়ে হয়ে গিয়েছিলেন ঘরের মানুষ। তাঁদের আগমনে শান্তিনিকেতন উৎসব মুখর হয়ে উঠত। বিশ্বভারতীর কাজ শেষ করে দেশে ফিরে যাবার সময়ে তাদের বিদায় সম্বর্ধনা জানানো হত মনোরম অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে। আলপনা আর ফুলে সুন্দরভাবে সাজিয়ে তোলা হত অনুষ্ঠান প্রাঙ্গণটি । মেয়েরা রঙ্গিন শাড়িতে সুন্দর সাজে, ফুলের মালা হাতে, শাঁখ বাজিয়ে অতিথিকে বরণ করে নিতেন গান আর নাচের মাধ্যেমে। কপালে পরিয়ে দিতেন চন্দনের ফোঁটা। হাতে তুলে দেওয়া হত শান্তিনিকেতনের স্মৃতি উপহার।
১৯২০ সালে ফ্রান্স ভ্রমণের সময়ে রবীন্দ্রনাথ ফরাসি চিত্রশিল্পী আঁন্দ্রে কার্পেলেসের (Andree Karpeles ১৮৮৫-১৯৬৫) সাহায্যে তৎকালীন চিত্রশিল্পকলার সঙ্গে পরিচিতি লাভ করেন। পরে কার্পেলেস রবীন্দ্রনাথের আহ্বানে ১৯২২ সালের নভেম্বর মাসে ভারতবর্ষে এসে বিশ্বভারতীর কাজে নিজেকে নিয়োজিত করেন। তাঁর মাধ্যমেই বিশ্বভারতীর কলাভবনে সেরামিক পেন্টিং, জাভাদেশের বাটিকের কাজ, ফ্রেস্কো আঁকার পদ্ধতি ইত্যাদি শিল্পচর্চা শুরু হয়। এছাড়াও মেয়েদের উন্নতির জন্য তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন শিল্পাগার, নন্দলাল বসু ও প্রতিমা দেবীর সাহায্যে পুনরুদ্ধার করেছেন অনেক হারিয়ে যাওয়া পুরানো শিল্পের। কর্মমুখর এক বছর পাঁচ মাসের পরে ১৯২৪ সালের এপ্রিল মাসে তিনি দেশে ফিরে যান। তাঁর বিদায় অনুষ্ঠানের দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখবার জন্য ২৩ এপ্রিল সন্ধ্যায় একটি বিদায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। অনুষ্ঠানে মেয়েরা গাইলেন কবির সদ্যরচিত ভরা থাক স্মৃতি সুধায় গানটি। পরদিন আনন্দবাজার পত্রিকায় এই অনুষ্ঠানের একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। আঁন্দ্রে রবীন্দ্রনাথকে কথা দিয়েছিলেন যে আবার শান্তিনিকেতনে ফিরে আসবেন, কিন্তু সেটি আর হয়ে ওঠেনি।
ভরা থাক স্মৃতি সুধায় গানটি আরও একজন বিদেশীর বিদায় সম্বর্ধনায় ব্যবহৃত হয়েছিল। তিনি আমেরিকান সমাজসেবিকা গ্রেশেন গ্রীন (Gretchen Green)। সুরুল ও পার্শ্ববর্তী গ্রামাঞ্চল উন্নয়নের জন্য রবীন্দ্রনাথের পূর্বপরিচিত ডরোথি স্ট্রেট তাকে শান্তিনিকেতনে পাঠিয়েছিলেন ১৯২২ সালের পূজার সময়। গ্রীন সুরুল গ্রাম পুনর্গঠনের কাজে নিজেকে উজাড় করে দিয়েছিলেন। তিনি ধাত্রীবিদ্যা ও প্রাথমিক চিকিৎসায় পারদর্শিনী ছিলেন। তিনি সুরুলে একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রও প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এছাড়া গার্ল-স্কাউট, নারীশিক্ষা, বিনোদন ইত্যাদি নানা কর্মকাণ্ডের সঙ্গে তিনি যুক্ত ছিলেন। প্রায় দেড় বছর পরে ২১ মার্চ ১৯২৪ সালে তিনি শান্তিনিকেতন ত্যাগ করেন রবীন্দ্রনাথের চিন ভ্রমণের সহযাত্রী হয়ে। শান্তিনিকেতনের রীতি অনুযায়ী ১৫ মার্চ লাইব্রেরি হলের বারান্দায় তাঁকে বিদায় জানানো হয় ভরা থাক স্মৃতি সুধায় গানটির মধ্য দিয়ে। রবীন্দ্রনাথের এক সংক্ষিপ্ত ভাষণের পরে তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হল ময়ূরকণ্ঠী শাড়ি, অঙ্গুরীয় ও অন্যান্য উপহার সামগ্রী। অনুষ্ঠানের শেষে একই সময়ে লেখা পাগল যে তুই কণ্ঠ ভরে জানিয়ে দে গানটিও গাওয়া হয়েছিল।
১৯২২ সালের জুন মাসে রবীন্দ্রনাথ ভিয়েনা পৌঁছান। সেখানে অধ্যাপক ভিনসেন্স লেসনি (Vincenc Lesny ১৮৮২-১৯৫৩) এবং এবং ভিন্টারনিৎস (Moriz Winternitz ১৮৬৩-১৯৩৭) রবীন্দ্রনাথকে অভ্যর্থনা জানান। দুজনেই সুপণ্ডিত এবং ভারততত্ত্ববিদ। রবীন্দ্রনাথ দুজনকেই বিশ্বভারতীর অতিথি অধ্যাপকের জন্য আমন্ত্রণ জানান। সম্ভবত ১৯২২ সালের শেষের দিকে লেসনি বিশ্বভারতীতে যোগদান করেন। ভিন্টারনিৎস শান্তিনিকেতনে পৌঁছান ১১ ডিসেম্বর ১৯২২। একবছর আশ্রমবাসকালে লেসনি ছাত্রদের গ্রীক ভাষা ও শব্দতত্ত্ব শেখান। তিনি লিপিকার রচনাগুলি চেক ভাষায় অনুবাদ করেছিলেন। তাঁরই বিদায় সম্বর্ধনা জানানো হয়েছিল ২৩ এপ্রিল ১৯২৩ , কলাভবনে সকালবেলায়। অনুষ্ঠানের সভাপতি ছিলেন রবীন্দ্রনাথ । বিশ্বভারতীর ছাত্রীরা বিদায়ী অতিথিকে অভিজ্ঞান-পত্র উপহার দেবার পরে রবীন্দ্রনাথ এবং অন্যান্য ব্যক্তিরা লেসনির অবদান উল্লেখ করে ধন্যবাদ জানান। অনুষ্ঠান শেষে দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর কয়েকটি গান পরিবেশন করেন। উল্লেখ্য ওই দিন বিকালেই আঁন্দ্রে কার্পেলেসের বিদায় অনুষ্ঠান হয়েছিল ।
১৯২২ সালে শান্তিনিকেতনে ভিন্টারনিৎস অতিথি অধ্যাপক হিসাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন প্রাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারততত্ত্ববিদ। সংস্কৃত শিক্ষকহিসাবে তিনি সুপরিচিত ছিলেন। ১৬ সেপ্টেম্বর ১৯২৩ ভিন্টারনিৎস শান্তিনিকেতন ত্যাগ করে কাশীর উদ্দেশ্যে রওনা হন। তাঁর বিদায় সম্বর্ধনা উপলক্ষে ১৫ সেপ্টেম্বর বিশ্বভারতীর ছাত্ররা উত্তমরামচরিত নাটক-এর কিছুটা অংশ অভিনয় করেন। রবীন্দ্রনাথ রাণুকে লিখেছেন, ‘…তদুপলক্ষে বিশ্বভারতীর ছাত্ররা উত্তমরামচরিতের একটা অংশ অভিনয় করবে। সীতা বাসন্তী তমসা প্রভৃতি সাজবার জন্য এখন থেকে পুরোদমে দাড়ি গোঁফ কামানো চলছে। ব্যাপার দেখে দীনু ভীষণ ক্ষাপা হয়ে উঠেছে’। পরের দিন ভিন্টারনিৎসকে যথারীতি বিদায় সম্ভাষণ জানানো হয় ‘মাল্যচন্দন, পট্টবস্ত্র, উত্তরীয়, ও অঙ্গুরীয় উপহার দিয়ে’। প্রথামত বেদমন্ত্র পাঠের পরে রবীন্দ্রনাথ এবং বিধুশেখর শাস্ত্রী অভিনন্দন পত্র পাঠ করেন। প্রত্যুত্তরে বিশ্বভারতীতে অধ্যাপনা এবং রবীন্দ্রনাথের বিশাল কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করবার সুযোগ পাবার জন্য ভিন্টারনিৎস সকলকে ধন্যবাদ জানান।
১৯২৪ এর ইউরোপ ভ্রমণের সময়ে ইটালিতে ক্লান্ত রবীন্দ্রনাথকে জনজোয়ার থেকে আগলিয়ে রাখবার চেষ্টা করেছিলেন রোম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতের অধ্যাপক কার্লো ফার্মিকি (Carlo Formichi ১৮৭১-১৯৪৩)। তিনি একজন প্রসিদ্ধ ভারততত্ত্ববিদ। রবীন্দ্রনাথ তাঁকে অনুরোধ করেছিলেন বিশ্বভারতীতে অতিথি অধ্যাপক হিসাবে যোগ দিতে। ফার্মিকির বহুদিনের ইচ্ছা ছিল ভারতবর্ষকে দেখবার, জানবার। রবীন্দ্রনাথের আহ্বানে তাঁর সেই স্বপ্ন সফল হয়েছিল। ১৯২৫ সালের ২১ নভেম্বর তিনি শান্তিনিকেতনে এসে পৌঁছান। সঙ্গে এনেছেন মুসোলিনী প্রেরিত এক বিশাল ইতালিয়ান গ্রন্থসম্ভার। রবীন্দ্রনাথের উপস্থিতিতে আশ্রমবাসীরা তাঁকে মাল্যচন্দন আর শঙ্খধ্বনি দিয়ে বরণ করে নেন। এই উপলক্ষে শান্তিমন্দির পুণ্য অঙ্গন গানটি গাওয়া হয়েছিল।
কার্লো ফার্মিকি মাত্র তিন মাস বিশ্বভারতীতে অধ্যাপনা করে ১০ মার্চ ১৯২৬ স্বদেশে ফিরে যান। তাঁর বিদায় সম্বর্ধনার উদ্দেশ্যে ৩ মার্চ শান্তিনিকেতনের উত্তরায়ণে অধ্যাপক ও ছাত্ররা মুদ্রারাক্ষস নাটকটি অভিনয় করেন। কলকাতায় জোড়াসাঁকোর বিচিত্রা হলেও একটি বিদায়-সভার আয়োজন করা হয়েছিল ৯ মার্চ। রবীন্দ্রনাথ ফার্মিকির আন্তরিকতা ও ভারতবিদ্যার ভূয়সী প্রশংসা করেন। এই উপলক্ষে আচার্য কার্লো ফার্মিকি মহাশয়ের বিদায়-সভা শীর্ষক নামে একটি পুস্তিকায় মঙ্গল-গীতি, অর্ঘ্য, নমস্কার ও প্রার্থনা এবং শান্তিবচন শিরোনামে চারটি সংস্কৃত শ্লোকের বঙ্গানুবাদ প্রকাশিত হয়েছিল ।
১৯২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মরিজ ভিন্টারনিৎস বিশ্বভারতী থেকে বিদায় নেন। তাঁর শূন্য পদে নতুন অধ্যাপক নিয়োগের জন্য রবীন্দ্রনাথ চিন্তিত ছিলেন। নরওয়ের ক্রিশ্চিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক স্টেন কোনোর (Sten Konow ১৮৬৭-১৯৪৮) সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের পত্রালাপ ছিল। তিনি সংস্কৃতজ্ঞ প্রাচ্যবিদ। কবির ডাকে সাড়া দিয়ে ১৩ নভেম্বর ১৩২৪ এ তিনি সস্ত্রীক শান্তিনিকেতনে এসে বিশ্বভারতীতে যোগ দেন। তাঁর অধ্যাপনার বিষয়বস্তু সমূহ ছিল অত্যন্ত জটিল। প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় লিখেছেন, স্টেন কোনোর গবেষণা-ধারা এখানে কেহই ধারণ করিয়া রাখেন নাই। কোনোর মাত্র তিন মাস অধ্যাপনা করেছেন। ১৯২৫ সালের জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে শান্তিনিকেতনের ছাত্ররা আম্রকুঞ্জে এক বিদায়-সভার আয়োজন করেছিলেন। সেখানে বিশেষ জলযোগ ব্যবস্থার সঙ্গে গান এবং সাতভাই চম্পা নামের একটি নাটক অভিনীত হয়েছিল। এছাড়াও আশ্রম ত্যাগের আগের সন্ধ্যায় অপর একটি অনুষ্ঠানে বিশ্বভারতীর পক্ষ থেকে স্টেনো দম্পতিকে ‘স্বর্ণাংঙ্গুরীয়, পট্টবস্ত্র, এবং তদীয় পত্নীকে পট্টশাড়ী উপঢৌকন দেওয়া হয়’। বেদমন্ত্র ও শান্তিমন্ত্র পাঠের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।
শান্তিনিকেতন থেকে অধ্যাপক কোনো কলকাতায় কিছুদিন অবস্থান করেন। রবীন্দ্রনাথের উপস্থিতিতে ৭ এপ্রিল আলিপুর অবজারভেটরিতে তাঁকে আনুষ্ঠানিক বিদায় জানানো হয়। সংক্ষিপ্ত বক্তব্যর পরে রবীন্দ্রনাথ তাঁর হাতে তালপাতায় লেখা অভিনন্দন-পত্র ও বিশ্বভারতীর নামাঙ্কিত আংটি উপহার দেন। স্টেন কোনো ৯ এপ্রিল ১৯২৫ কলকাতা থেকে স্বদেশ অভিমুখে যাত্রা করেন।
১৯২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে হল্যান্ড ভ্রমণের সময়ে রবীন্দ্রনাথ মেরি ভন ইঘেনের বাড়িতে কিছুকাল অতিথি হিসাবে বাস করেছেন। ইঘেন কেবলমাত্র একজন বিত্তশালী ডাচ মহিলাই নন, তিনি সংগীতজ্ঞা এবং অত্যন্ত রবীন্দ্রানুরাগী ছিলেন। রবীন্দ্রনাথের আমন্ত্রণে ১৮২১ সালের জানুয়ারি মাসে তিনি শান্তিনিকেতনে এসে প্রায় দুমাস কাটিয়ে যান। শুধু তাই নয়, নিজে রবীন্দ্রসংগীত শিখেছেন, বিনিময়ে ছাত্রছাত্রীদের শিখিয়েছেন বিদেশী সঙ্গীত ও তার স্বরলিপি। এছাড়া শান্তিনিকেতন ও সুরুলের নানা ধরণের উন্নয়নমূলক কাজেও তিনি যুক্ত ছিলেন। নিজের উদ্দ্যোগে সুরুল গ্রামে একটি কুটির বানিয়ে সেখানে তিনি বাস করতেন। আশ্রমের সান্ধ্যকালীন চা-পান আসরে তিনি রবীন্দ্রনাথের সংগে মাঝে মাঝে গানও গাইতেন।
শান্তিনিকেতনে দুমাসের কর্মময় দিনগুলির পরে মার্চ মাসের ৪ তারিখে ইঘেন দেশে ফিরে যান। শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্য অনুযায়ী তার কয়েকদিন আগে ইঘেনকে বিদায় সংবর্ধনা জানানো হয়েছিল তারই বাসভবনে।
আমন্ত্রিত ছিলেন তার বন্ধুবান্ধব, আশ্রমের ছাত্রছাত্রী ও কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি। ছাত্রছাত্রীরা ইঘেনের কাছ থেকে শেখা পাশ্চাত্য গানগুলি পরিবেশণ করবার পরে রবীন্দ্রনাথ প্রায় এক বছর আগে (৫ মার্চ ১৯২০) লেখা মাধবী হঠাৎ কোথা হতে এল ফাগুন দিনের স্রোতে গানটি গেয়ে সকলের মনোরঞ্জন করেন। সবশেষে ছিল একটি বীণাবাদন অনুষ্ঠান।
এছাড়াও আরও বহু বিদেশী বিদগ্ধ শিক্ষাবিদ বিশ্বভারতীকে তাঁদের অভিজ্ঞতা ও জ্ঞানের ভাণ্ডারে সমৃদ্ধ করে গিয়েছেন। প্রতি ক্ষেত্রেই তাঁদের আগমন ও বিদায় অনুষ্ঠানগুলি স্মরণীয় হয়ে রয়েছে আশ্রমিক ও ছাত্রদের আন্তরিকতা ও আতিথ্যে।
Sanibarer Blog Santiniketan Rabindranath Tagore Rabindra Sangeet Purnendu Bikash Sarkar Gitanjali Gitabitan Rabindra Kobita Jorasanko Selidaha
লেখাটি কেমন লাগলে অনুগ্রহ করে জানালে উৎসাহিত হব।
ডা. পূর্ণেন্দুবিকাশ সরকার
মেরি ভন ইঘেনের কাছ থেকে যে পাশ্চাত্য গান গুলি শিখেছিলেন আশ্রমিকেরা, সেগুলি থেকে কি কবি গান বেঁধেছিলেন? কোন কোন গান? খুব ভাল লাগছে বিদেশী শিক্ষক দের ছবি সহ সমস্ত বিষয় গুলো জানতে পেরে…. আজকের দিনটা কে পূর্ণ করে দিলেন। নমস্কার।
ভারি চমৎকারভাবে তুলে ধরেছেন সেকালের শান্তিনিকেতনের সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল। বহু গুণী মানুষের সান্নিধ্যে সেকালের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় সমৃদ্ধ হয়েছে ও রবীন্দ্রনাথের স্বপ্নকে সার্থক করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এই লেখনীর জন্য।
আমি যদিও শান্তিনিকেতনের ছাত্র কিন্তু আপনার লেখা পড়েই বুঝতে পারি, অনেক তথ্য আমার জানার বাইরে থেকে গেছে। যেমন উপরোক্ত তথ্যগুলির সবগুলি আমার জানা ছিল না আবার যেগুলি জানতাম তাঁদের বিদায় সম্বর্দ্ধনা বিষয়ে এত বিস্তারিতভাবে জানতাম না। সমৃদ্ধ হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।