ঊনিশ শতকে, ভারতের সেই নবজাগরণের কালে, বাংলার সাহিত্যসংস্কৃতি জগতে যখন তুমুল আলোড়ন উঠেছিল, সেই সময়ে জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে সূচনা হয়েছিল একাধিক ছোটো ছোটো দল বা ক্লাবের। এগুলি আসলে ঠাকুরবাড়ির সদস্যদের একধরণের মিলনসভা, যেখানে তাঁরা গান, কবিতা, আলোচনা কিম্বা নাটক পরিবেশনের মাধ্যমে নিজেদের সংস্কৃতিচর্চার আদানপ্রদান ঘটাতেন। এমনই কয়েকটি সভার নাম ‘ভাইবোন সমিতি’, ‘বিদ্বজ্জনসমাগম সভা’, ‘ডাকাতে ক্লাব’, ‘ড্রামাটিক ক্লাব’, ‘খামখেয়ালি সভা’, ‘সখিসমিতি’, ‘জোড়াসাঁকো নাট্যশালা’, ‘সঞ্জীবনী সভা’ ইত্যাদি। এই সভাগুলির কাজকর্ম আমাদের সংস্কৃতি-জগতে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে রয়েছে। তারই কিছু আলোচনা থাকবে আমাদের এই পর্বে।
বিদ্বজ্জনসমাগম সভা
যাঁর পরোক্ষ অনুপ্রেরণায় জোড়াসাঁকোর বিদ্বজ্জন সভার সূচনা হয়েছিল তিনি জন বিমস (১৮৩৭-১৯০২)। সুলেখক, একজন প্রাজ্ঞ ভারতীয় ভাষাতত্ত্ববিদ, বহু মূল্যবান গ্রন্থের রচয়িতা জন বীমস ছিলেন ব্রিটিশ-শাসিত ভারতের সরকারি কর্মচারী। ভারতীয় সাহিত্য, ইতিহাস এবং জীবন সম্পর্কে অর্জন করেছিলেন গভীর জ্ঞান।
১৮৭২ সালে বঙ্গদর্শন পত্রিকায় প্রবন্ধের মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশে একটি ‘সাহিত্য-সমাজ’ গঠনের প্রস্তাব করেছিলেন। ব্রিটিশ শাসন এবং খ্রিষ্টান মিশনাদেরদের প্রভাবে বাংলা ভাষা তখন এক সঙ্কটময় সময়ের মধ্য দিয়ে চলেছিল। তরুণসমাজ মাতৃভাষাকে অবহেলা করে ইংরাজিকে আপন করে নিতে গর্ব বোধ করত। তার প্রভাব পড়ছিল বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিতেও। তাঁর আশা ছিল প্রস্তাবিত সাহিত্যসমাজের মাধ্যমেই বাংলাভাষার গরিমাকে পুনরুদ্ধার করা সম্ভব।
ততদিনে জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি ভারতের নবজাগরণ, উচ্চশিক্ষা, সাহিত্য-সংস্কৃতি ও শিল্পচর্চার অন্যতম পীঠস্থান হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে। ১৮৭৪ সালের ১৮ এপ্রিল দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর আর সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের উদ্দ্যোগে জোড়াসাঁকোর বাড়িতে ‘বিদ্বজ্জনসমাগম সভা’র সূচনা হয়েছিল। ঠিক জন বীমসের আদর্শে না হলেও, এই সভার মূল উদ্দেশ্য ছিল সাহিত্যানুরাগী ব্যক্তিদের একত্রিত করে সাহিত্যপাঠ, আলোচনা, সংগীত পরিবেশন, অভিনয় ইত্যাদির আয়োজন করা। বিদ্বজ্জনসমাগম সভার নামকরণ করেছেন পণ্ডিত আনন্দচন্দ্র বেদান্তবাগীশ। এটি কখনও কখনও ‘ভারতী উৎসব’ নামেও উল্লিখিত হত।
বিদ্বজ্জনসমাগম সভার বিষয়ে জ্যোতিরিন্দ্রনাথের জীবনস্মৃতিতে উল্লিখিত আছে, ‘এই সময়ে জোড়াসাঁকো বাড়িতে জ্যোতিবাবুরা প্রতিবৎসর একটি ‘সম্মিলনী’ আহ্বান করিতেন । উদ্দেশ্য- সাহিত্যসেবীদের মধ্যে যাহাতে পরস্পর আলাপপরিচয় ও তাঁহাদের মধ্যে সদ্ভাব বর্ধিত হয় ।— শ্রীযুক্ত আনন্দচন্দ্র বেদান্তবাগীশ মহাশয় এই সম্মিলনের নামকরণ করিয়া দিয়াছিলেন— ‘বিদ্বজ্জনসমাগম’। এই সমাগমে তখন বঙ্কিমচন্দ্র, অক্ষয়চন্দ্র সরকার, চন্দ্রনাথ বসু, রাজকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায়, কবি রাজকৃষ্ণ রায় প্রভৃতি লব্ধপ্রতিষ্ঠ সাহিত্যসেবীগণকে নিমন্ত্রণ করা হইত । এই উপলক্ষ্যে অনেক রচনা এবং কবিতাদিও পঠিত হইত, গীতবাদ্যের আয়োজন থাকিত, নাট্যাভিনয় প্রদর্শিত হইত এবং সর্বশেষে সকলের একত্র প্রীতিভোজনে এই সাহিত্য-মহোৎসবের পরিসমাপ্তি হইত।’
সূচনা অনুষ্ঠানে শতাধিক আমন্ত্রিত দর্শকের উপস্থিতিতে কবিতাপাঠ, আলোচনা এবং সঙ্গীতানুষ্ঠান ছাড়াও নাটক পরিবেশন করা হয়েছিল। কবি হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় (কবিতা পাঠ), প্যারীমোহন মিত্র (সংগীত), জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর (নাটক পুরুবিক্রম), দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর (স্বপ্নপ্রয়াণ থেকে পাঠ) আর বাড়ির ছোটো ছেলেমেয়েদের অংশগ্রহণে বিদ্বজ্জনসমাগম সভার প্রথম অধিবেশন জমকালোভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সবশেষে ছিল প্রীতিভোজের মহা আয়োজন। তবে জানা যায় নি কিশোর রবীন্দ্রনাথ সেদিন উপস্থিত ছিলেন কিনা।
বিদ্বজ্জনসমাগম সভার দ্বিতীয় অধিবেশন বসেছিল ১৮৭৫ সালের ৯ মে, গুণেন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাড়িতে। এদিনও উপস্থিত ছিলেন একশজন সাহিত্যিক আর বিদগ্ধ ব্যক্তি। ফুল গাছপালা আর আলোকমালায় সুন্দরভাবে সাজানো হয়েছিল অনুষ্ঠান মঞ্চটি। রাজনারায়ণ বসুর বাংলা ভাষার উৎপত্তি, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে বক্তৃতা, কবিকংকনের চণ্ডীপাঠ, হুতোম প্যাঁচা থেকে পাঠ, হেমেন্দ্রনাথ ঠাকুরের কন্যা প্রতিভার সেতার বাদন আর হিন্দিগান ছিল অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ। তবলায় সহযোগিতা করেছিলেন ঠাকুরবাড়ির গায়ক বিষ্ণুবাবু। তবে সেদিন চোদ্দ বছরের কিশোর রবীন্দ্রনাথের ‘প্রকৃতির খেদ’ শিরোনামে স্বরচিত কবিতা সবাইকে আপ্লুত করে তুলেছিল। সভাশেষে যথারীতি ভুরিভোজের আয়োজন ছিল।
জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে বিদ্বজ্জনসমাগম সভার তৃতীয় অধিবেশন বসেছিল ১৮৭৮ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি। প্রতিভা দেবীর কয়েকটি সংগীত পরিবেশন ছাড়া এই অনুষ্ঠানের আর কোনো বিস্তারিত খবর জানা যায়নি, জানা যায়নি রবীন্দ্রনাথ সেদিন উপস্থিত ছিলেন কি না। কেবলমাত্র হিন্দু পেট্রিয়ট পত্রিকায় একটা ছোটো প্রতিবেদন ছাপা হয়েছিল।
রবিজীবনীতে শ্রী প্রশান্ত পাল লিখেছেন, ‘আমাদের ধারণা, অনুষ্ঠানটি একটি বার্ষিক ব্যাপারে পরিণত হয়েছিল, কিন্তু সবকটি অধিবেশনের বিবরণ সংগ্রহ করা সম্ভব হয় নি।’
পরবর্তী অনুষ্ঠানের সঠিক তথ্য না পাওয়া গেলেও জীবনস্মৃতিতে রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন, ‘দ্বিতীয় বৎসরে দাদারা এই সম্মিলনে একটি নাট্যাভিনয় করিবার ইচ্ছা করিলেন। কোন্ বিষয় অবলম্বন করিয়া নাটক লিখিলে এই সভার উপযুক্ত হইবে তাহারই আলোচনাকালে দস্যুরত্নাকরের কবি হইবার কাহিনীই সকলের চেয়ে সংগত বলিয়া বোধ হইল। ইহার কিছু পূর্বেই আর্যদর্শনে বিহারীলাল চক্রবর্তী মহাশয়ের সারদামঙ্গল সংগীত বাহির হইয়া আমাদের সকলকেই মাতাইয়া তুলিয়াছিল । এই কাব্যে বাল্মীকির কাহিনী যেরূপ বর্ণিত হইয়াছে তাহারই সঙ্গে দস্যু রত্নাকরের বিবরণ জড়াইয়া দিয়া এই নাটকের গল্পটা একরূপ খাড়া হইল। এই সারদামঙ্গলের আরম্ভ-সর্গ হইতেই বাল্মীকিপ্রতিভার ভাবটা আমার মাথায় আসে।’ কিছুদিন পরেই প্রকাশিত হয়েছিল রবীন্দ্রনাথের প্রথম গীতিনাট্য বাল্মীকিপ্রতিভা।
১৮৮১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি বিদ্বজ্জনসমাগম সভার পরবর্তী অনুষ্ঠানের প্রধান আকর্ষণ ছিল রবীন্দ্রনাথের লেখা গীতিনাট্য বাল্মীকপ্রতিভা। এই উপলক্ষে দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা একটি আমন্ত্রণপত্র বিশিষ্ট অতিথিদের ঠিকানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
১৮৮১ সালের বিদ্বজ্জনসমাগম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল মহর্ষি ভবনের তিনতলার ছাদে। জীবনস্মৃতিতে রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন, ‘তেতালার ছাদের উপর পাল খাটাইয়া স্টেজ বাঁধিয়া এই বাল্মীকিপ্রতিভার অভিনয় হইল। তাহাতে আমি বাল্মীকি সাজিয়াছিলাম। রঙ্গমঞ্চে আমার এই প্রথম অবতারণ। দর্শকদের মধ্যে বঙ্কিমচন্দ্র ছিলেন, তিনি এই গীতিনাট্যের অভিনয় দেখিয়া তৃপ্তিপ্রকাশ করিয়াছিলেন।’ রবীন্দ্রনাথ এর আগে কয়েকটি ঘরোয়া অনুষ্ঠানে অভিনয় করলেও এবারই প্রথম বাইরের দর্শকদের কাছে অভিনেতার ভূমিকায় তাঁর আত্মপ্রকাশ।
অনুষ্ঠানের প্রায় দু সপ্তাহ আগে বাল্মীকপ্রতিভার রিহার্সাল শুরু হয়ে গিয়েছিল। নামভুমিকায় ছিলেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ। হেমেন্দ্রনাথের কন্যা প্রতিভা সেজেছিলেন সরস্বতী। মঞ্চানুষ্ঠানটিকে রিয়েলিস্টিক করে তোলবার জন্য নানা কৌশল অবলম্বন করা হয়েছিল। ছাদের উপরে ডাম্বেল গড়িয়ে মেঘের আওয়াজ, উপর থেকে জল ঢেলে বর্ষার আমেজ, আয়নায় আলো ফেলে বিদ্যুৎ চমক, হরিণের চামড়ার মধ্যে খড় ভ’রে বন্যবরাহ আর তুলো দিয়ে তৈরি ক্রৌঞ্চমিথুন নাটকটিকে জীবন্ত করে তুলেছিল। নানা রঙের মখমলের কাপড় আর ফল লতাপাতা দিয়ে মুড়ে দেওয়া হয়েছিল অনুষ্ঠান মঞ্চটি। বনের পরিবেশ তৈরি করা হয়েছিল ছোটো ছোটো গাছপালা দিয়ে। ঝড়ের আবহ দেখানোর জন্য দড়ি দিয়ে দূর থেকে সেগুলিকে ঝাঁকানো হত। বিলিতি কায়দায় পর্দা ব্যবহার করে নাটকের দৃশ্যান্তর গুলিকে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা ছিল এবারের নাটকের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
মঞ্চসজ্জা আর শিল্পীদের অভিনয়-দক্ষতায় বাল্মীকপ্রতিভা অসাধারণভাবে সফল আর উচ্চ-প্রশংসিত হয়েছিল, লাভ করেছিল বঙ্কিমচন্দ্রের বাহবা। এবারের বাল্মীকিপ্রতিভা অভিনয়ে অংশ না নিলেও জ্যোতিরিন্দ্রনাথের উপরে ভার ছিল কন্সার্ট বাজানোর। পরের দিন সাপ্তাহিক প্রতিবেদনে লেখা হয়েছিল, ‘কল্য শনিবার সন্ধ্যার পর কলিকাতার জোড়াসাঁকোস্থ শ্রীযুক্ত দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভবনে বিদ্বজ্জন সমাগম হইয়াছিল। ঠাকুরবাড়ির ছোটো ছোটো গুটিকতক বালক বালিকা সংগীত-যন্ত্রের সুরের সঙ্গে বেশ সুস্বরে গান করিয়াছিলেন। তাহার পর বাল্মীকি প্রতিভা নামে একখানি অভিনব গীতিকাব্য অভিনীত হয়। বাল্মীকি সরস্বতী কৃপায় দস্যুবৃত্তি ত্যাগ করিয়া কিরূপে অমর কবিত্ব লাভ করেন তাহা প্রদর্শন করাই এই কাব্যের উদ্দেশ্য। শ্রীযুক্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর স্বয়ং বাল্মীকি হন আর প্রতিভা নাম্নী প্রতিভাসম্পন্না তাঁহার দ্বাদশ বর্ষীয়া ভ্রাতুষ্কন্যা বাগ্দেবী রূপে অভিনয় করেন। বঙ্গ কুল কুমারী কর্তৃক রঙ্গ-বেদী এই প্রথম উজ্জ্বলীকৃত হইল । বঙ্গ রঙ্গ-ভূমির নব কলেবরের এই অভিষেক ক্রিয়ার প্রতিভা উপযুক্ত অধিষ্ঠাত্রী দেবী বটেন । তিনি সুকণ্ঠা, গীতি নিপুণা, সতেজ-নয়না এবং ধীরপদ বিক্ষেপ-কারিণী। তাঁহার গীতাভিনয়ে দর্শক বৃন্দের অনেকে বিস্মিত এবং প্রীত হইয়াছিলেন।’
শ্রী বীরেন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় বিদ্বজ্জনসমাগম সভার পরবর্তী অধিবেশন সম্বন্ধে একটি ভ্রান্ত তথ্য পরিবেশন করে লিখেছেন, ‘বাল্মীকিপ্রতিভা’র পুনরভিনয় বিদ্বজ্জনসমাগম সভার বার্ষিক অধিবেশন উপলক্ষে ৫ মার্চ ১৮৮১ (২৩ ফাল্গুন ১২৮৭)। অভিনয় হয় জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতেই।’ শ্রী প্রশান্ত পাল জানিয়েছেন তথ্যটি সঠিক নয়।
১৮৮২ সালের ৫ ডিসেম্বর প্রকাশিত হল রবীন্দ্রনাথের দ্বিতীয় গীতিনাট্য কালমৃগয়া। প্রকাশের পরেই রবীন্দ্রনাথ এটির অভিনয়ের তোড়জোড় শুরু করেছিলেন। ১৮৮২ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিদ্বজ্জনসমাগম সভার অধিবেশনে আমন্ত্রিত দর্শকদের সামনে মঞ্চস্থ হল নাটক কালমৃগয়া। এতে অভিনয় করেছেন দশরথের ভূমিকায় জ্যোতিরিন্দ্রনাথ, অন্ধমুনি রবীন্দ্রনাথ, অন্যান্য ভূমিকায় ঋতেন্দ্রনাথ, অভিজ্ঞা দেবী, আর ঠাকুরবাড়ির ছোটো ছেলেমেয়েরা।
অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিদ্বজ্জনসমাগম সভার স্মৃতিচারণায় লিখেছেন, ‘আমাদের ছেলেবেলায় দেখেছি বাবামশায়ের আমলে বাড়িতে তখন ‘বিদ্বজ্জনসমাগম’ বলে একটা সভা বসত। তাতে জ্ঞানীগুণীরা আসতেন, সভার নাম দেখেই বুঝতে পারছ। প্রতিভাদিদির ওস্তাদী গান হত। আমরা ফুল লতা দিয়ে দোতালার হল্-ঘর সাজাতুম। সেইখানেই সভা হত। বাবামশায় তখন আমাদের উপর ঐ-সব ছোটোখাটো কাজের ভার দিতেন। সভার নাম আমাদের মুখে ভালো করে আসত না, আমরা নাম দিয়েছিলুম ‘বিদ্যুতজন সমাগম’ সভা। রঘুনন্দন ঠাকুর একবার প্রতিভাদিদিকে তানপুরো বকশিশ দিয়েছিলেন।’
হিন্দু পেট্রিয়ট পত্রিকার প্রতিবেদনে লেখা হয়েছিল, The actors and actresses were for the most part the children of the family, and the performance was simply exquisite. It would be invidious to single out any particular character, when all acquitted themselves so well.
বিদ্বজ্জনসমাগম সভার পরবর্তী অধিবেশন এরপর কবে অনুষ্ঠিত হয়েছিল কিংবা আদৌ হয়েছিল কিনা সে বিষয়ে প্রামাণ্য তথ্য আমাদের গোচরে নেই।
আগামী সংখ্যায় ভাই-বোন সমিতি ও অন্যান্য
বিষয়টি খুবই আকর্ষণীয়। অসংখ্য ধন্যবাদ।
এত সুন্দরভাবে জানা ছিল না। সমৃদ্ধ হলাম। ধন্যবাদ।