সারস্বত সমাজ 5/5 (5)

সারস্বত সমাজ (১৮৮২) : কলকাতার ৯২ নম্বর বউবাজার স্ট্রীটে বঙ্কিমচন্দ্রের বাড়িটি ছিল তৎকালীন বিশিষ্ট সাহিত্যিকদের মিলন ক্ষেত্র। রবীন্দ্রনাথ তখন সদ্য যৌবনে পা দিয়েছেন। তিনিও মাঝে মাঝে ঐ আসরে উপস্থিত হতেন বঙ্কিমচন্দ্রের সান্নিধ্য লাভের আশায়। আর সেই যোগাযোগের অনুপ্রেরণাতে জ্যোতিরিন্দ্রনাথ আর রবীন্দ্রনাথের উৎসাহে ১৮৮২ সালের চৈত্র মাসে  সারস্বত সমাজের সূচনা হয়েছিল। এর উদ্দেশ্য ছিল কেবলমাত্র সাহিত্যচর্চা […]

খামখেয়ালি সভা 5/5 (6)

শুরুর কথা সম্ভবত ১৮৯২ সালের মাঝামাঝি অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উদ্দ্যোগে জোড়াসাঁকোতে ড্রামাটিক ক্লাব-এর সূচনা হয়েছিল। এর প্রাতিষ্ঠানিক নাম ‘গার্হস্থ্য নাট্যসমিতি’। রবীন্দ্রনাথের সভাপতিত্বে ঠাকুরবাড়ির দশজন সদস্যকে নিয়ে একটা কমিটি গড়ে প্রত্যেকের কাজ নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল। মাসিক চাঁদা ছিল পাঁচ টাকা, কিন্তু এককালীন একশ টাকা দিলে ‘মুরুব্বি সভ্য’ হওয়া যেত। বৈঠকখানা বাড়ির অব্যবহৃত  তোষাখানাটাই ছিল ড্রামাটিক ক্লাবের […]

জোড়াসাঁকো নাট্যশালা 4.57/5 (7)

জোড়াসাঁকো নাট্যশালা উনিশ শতকের প্রথমার্ধ। সূচনা হয়েছে বাংলার নবজাগরণের ইতিহাস। রামমোহন রায়, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, মাইকেল মধুসুদন দত্ত, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, অক্ষয়কুমার দত্ত প্রমুখ একগুচ্ছ যুক্তিবাদী ও মানবতাবাদী মনীষীর  উদ্দ্যোগে বাংলার শিক্ষা-সাহিত্য-রাজনীতির দ্রুত পট পরিবর্তন ঘটতে লাগল। আর সেই কর্মযজ্ঞের অন্যতম কেন্দ্রভূমি ছিল জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি। একের পর এক নতুন নতুন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হতে থাকল কবিতা-গান-প্রবন্ধ-গল্প-সমালোচনা […]

শেষের ক’দিন 4.25/5 (8)

১৯৪১ । ২৫ জুলাই – ৭ আগস্ট ২৫ জুলাই ।  রেলওয়ের স্পেশাল কোচে অসুস্থ রবীন্দ্রনাথকে শান্তিনিকেতন থেকে কলকাতায় নিয়ে আসা হল অপারেশনের জন্য। মহর্ষি ভবনের দোতলার পাথরের ঘরের বিছানায় তাঁর শয্যা পাতা।  শরীর ক্লান্ত । বলছেন, ‘ভালো লাগছে না।’ রানী চন্দ সারাক্ষণ পাশে বসে রয়েছেন, পায়ে হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন।  পাশের ঘরে চলেছে ডাক্তারদের আনাগোনা। ২৬ […]