শান্তিনিকেতনে গোশালা?
হ্যা, শান্তিনিকেতনের নানা ধরণের কর্মকান্ডের মধ্যে গোশালা বা গো-ব্যবসার একটা ছোট্টো ইতিহাস আছে। আর এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে রবীন্দ্রনাথের প্রত্যক্ষ সমর্থন, উৎসাহ আর আর্থিক অনুদান । ১৯০৬ সালে রথীন্দ্রনাথ এবং শ্রীশচন্দ্রের পুত্র সন্তোষচন্দ্রকে রবীন্দ্রনাথ আমেরিকায় পাঠিয়েছিলেন কৃষিবিজ্ঞানে উচ্চ শিক্ষা নেবার জন্য। তাঁর আশা ছিল দুজনে ফিরে এসে শান্তিনিকেতন ও সুরুল উন্নয়নের কাজে হাত লাগাবেন। কৃষি ও গ্রামোন্নয়ন, প্রান্তিক মানুষের কর্মসংস্থান আর আর্থিক স্বনির্ভরতার জন্য রবীন্দ্রনাথের প্রচেষ্টার অন্ত ছিল না। সেই সময়ে, শান্তিনিকেতনের চরম অর্থকষ্টের মধ্যেও, দুজনের উচ্চশিক্ষার্থে বিদেশযাত্রার যাবতীয় ব্যয়ভার রবীন্দ্রনাথকেই বহন করতে হয়েছিল।
১৯০৮ সালের নভেম্বর মাসের এক অঘটনে সন্তোষচন্দ্রের ভবিষ্যত জীবনের যাবতীয় স্বপ্ন ও পরিকল্পনা এলোমেলো হয়ে গেল। বিনা মেঘে বজ্রপাতের মত পিতা শ্রীশচন্দ্রের মৃত্যুর খবর পৌঁছাল সন্তোষচন্দ্রের কাছে। বিদেশে তিনি তখন উচ্চশিক্ষার শেষ প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সেটা আর সম্পূর্ণ করা সম্ভব হল না। পিতার জ্যেষ্ঠপুত্র হিসাবে বিরাট সংসারের সমস্ত দায়িত্ব এসে পড়ল সন্তোষের ঘাড়ে। তাই শিক্ষা অসমাপ্ত রেখেই তিনি রথীন্দ্রনাথের আগেই (১৯০৯ সালের ডিসেম্বর) দেশে ফিরে এলেন।
এবার সংসার চালানোর জন্য দরকার কোনো একটি স্থায়ী কাজের। কোন কাজ তিনি করবেন? যে শিক্ষার জন্য এত অর্থব্যয় করে বিদেশে এতগুলি বছর কাটালেন, সেটা শেষ করে আসতে পারলে মনের মত কিছু করা যেত, কিন্তু তা তো আর হল না। চাকরিই গড়পড়তা বাঙ্গালীর ভবিতব্য। সকলে সন্তোষকে সেই পরামর্শই দিলেন, ভালো চাকরির সন্ধানও এনে দিলেন কেউ কেউ। কিন্তু স্বাধীনচেতা সন্তোষের মন তাতে সায় দিল না। স্থির করলেন, অপরের গোলামি না, তিনি স্বাধীন ব্যবসা করবেন।
শান্তিনিকেতনে বরাবরই দুধের খুব আকাল। ছোটো ছোটো ছেলেমেয়েদের জন্য প্রয়োজনীয় দুধ জোগাড় করাই ছিল সমস্যার। দূরের গ্রামগুলি থেকে অনেক বেশী দাম দিয়ে দুধ কিনে নিয়ে আসতে হত, তাও সবসময় পাওয়া যেত না। সন্তোষচন্দ্রের ইচ্ছা আশ্রমের কাছেই একটা গোশালা খুলে দুধের ব্যবসা শুরু করবেন আর সেখানের উৎপণ্য দুধ বিক্রি করে সংসারের চাকা সচল রাখবেন। । কিন্তু গুরুদেব কি তাতে সায় দেবেন?
একদিন সটান চলে গেলেন গুরুদেবের কাছে। তাঁর পরামর্শ আর আশীর্বাদ ছাড়া সন্তোষচন্দ্রের পক্ষে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া অসম্ভব। সন্তোষের ভবিষ্যৎ নিয়ে রবীন্দ্রনাথ প্রথম থেকেই চিন্তিত ছিলেন আর একটা পরিকল্পনাও মনে মনে ঠিক করে রেখেছিলেন। শান্তিনিকেতনের ব্রহ্মাচর্যাশ্রমে ছাত্র সংখ্যা তখন প্রায় ১২০ জন। সকলেই নেহাত বালক। তাদের জন্য পর্যাপ্ত দুধ জোগাড় করাও ছিল এক বিরাট সমস্যা। তাই সন্তোষের প্রস্তাব শুনেই রবীন্দ্রনাথ সানন্দে রাজি হয়ে গেলেন।
রবীন্দ্রনাথের অনুমতি পেয়েই সন্তোষচন্দ্র পূর্ণ উদ্যমে নেমে পড়লেন নতুন ব্যবসায়। প্রায় হাজার টাকা খরচ করে পাঁচটা গরু কিনে বোলপুর স্কুলেই পুরোদমে গোশালার ব্যবসা শুরু করে দিলেন। লাভও মন্দ হচ্ছিল না। সবচেয়ে বড় কথা ব্যবসা-লক্ষ্মীর আশীর্বাদে সন্তোষের সংসারের অনটন অনেকটাই ঘুচে গেল।
সন্তোষচন্দ্রকে গো-ব্যবসায় উৎসাহিত করে রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন, ‘যে রকম হিসাব করা যাচ্ছে তাতে দেখতে পাচ্ছি বোলপুরেই অতি সহজে মাসিক দুশো টাকা লাভের কাজ করতে পারবে। এমন স্থলে কোনো কোম্পানীর অধীনে চাকরিতে প্রবৃত্ত হওয়ায় কি সুবিধা হবে’?
ইতিমধ্যে উপেন্দ্র সেনের ভাইঝির সঙ্গে সন্তোষের বিয়ের প্রস্তাব এল রবীন্দ্রনাথের কাছে। রবীন্দ্রনাথ ভাবলেন এই বিয়ে উপলক্ষে সন্তোষ যে আট-দশ হাজার টাকা যৌতুক পাবে তাই দিয়ে ব্যবসাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। অবশ্য এই বিয়ের ব্যাপারে সন্তোষের কোনো উৎসাহ ছিল না, সে তখন নিজের ব্যবসার স্বপ্নে বিভোর। তবে সন্তোষকে চাকরির বদলে ডেয়ারির ব্যবসায় নিয়োজিত করবার কাজে রবীন্দ্রনাথের আগ্রহের জন্য সন্তোষের আত্মীয়পরিজন তাঁর উপরে ক্ষুব্ধ ছিলেন। তারা মনে করেছিলেন সন্তোষকে বিদ্যালয়ে বেঁধে রাখাই ছিল গুরুদেবের আসল উদেশ্য।
শান্তিনিকেতনের মত রুক্ষ অঞ্চলে গরুপালন করা যে কত অসুবিধাজনক কিছুদিনের মধ্যেই রবীন্দ্রনাথ তা হাড়ে হাড়ে বুঝতে পেরেছিলেন। নগেন্দ্রনাথকে লিখেছেন, ‘বোলপুরে গরু রাখার বিস্তর অসুবিধা – ঘাস নেই, গোরুর অন্যান্য খাবারও বহুদূর থেকে বেশী দাম দিয়ে আনিয়ে নিতে হয়। তবু দেখা যাচ্ছে লোকসান হবার আশঙ্কা নেই। আর যদি গোটা দশেক গরু আনা যায় তাহলে ঐ জায়গাতেই ১৫০। ২০০ টাকা মাসে খরচ বাদে পাওয়া যেতে পারে। এটা বেশ দেখা যাচ্ছে চাষের চেয়ে আমাদের দেশে গোরুর ব্যবসা অনেক বেশী লাভজনক’। শুধু গরু নয়, ছাগলও কিনতে চেয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ আশ্রমের ছেলেদের পুষ্টির কথা ভেবে। এজন্য চারুচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাধ্যমে চিন্তামণি ঘোষ কে কিছু ছাগল পাঠাতে অনুরোধ জানিয়েছিলেন । আর এটাও বলেছিলেন যে ‘এক ট্রাক নিতেও আমাদের আপত্তি নেই’। গরুর খাবার আর দুধ দুইবার গোয়ালার জন্য ভূপেন্দ্রনাথ সান্যালের কাছে আবেদন জানিয়ে লিখেছেন, ‘ভূষি এখানে পাওয়া যায় না – গোয়ালাও নাই – বড় মুশকিলে পড়া গেছে। ভূষি আপনাদের অঞ্চলের যদি সস্তায় পাওয়া যায় তবে আপনার সাহায্যে আনাইব। দর কত ? গোয়ালা ওখান হইতে জন দুই কি পাওয়া যায় না’? অর্থাৎ নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও সন্তোষের ব্যবসাকে টিকিয়ে রাখতে আর এগিয়ে নিয়ে যেতে রবীন্দ্রনাথের প্রচেষ্টা আর ভাবনার অন্ত ছিল না।
ভূপেন্দ্রনাথ সান্যালকে আবেদন জানানোর চার মাস পরেও একটা ছাগলও এসে পৌঁছাল না শান্তিনিকেতনে। আফসোস করে জানতে চেয়েছেন, ‘ছাগলগুলি কবে আমাদের শান্তিনিকেতনের তৃণরাজি কবলিত করতে আসবে’? ইতিমধ্যে ডেয়ারিকে আরও বড় করবার জন্য সুপুরের জমিদারের কাছ থেকে প্রায় ১০০ বিঘা জমি সন্তোষকে অল্প দামে কিনিয়ে দিয়েছেন। আশা ছিল এই জমিতে গরুর খাবার উৎপাদন করা হবে। এইসব উদ্যোগ থেকে বোঝা যায় সন্তোষের প্রকল্পের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ নিজেকে কতটা একাত্ম করে নিয়েছিলেন এবং সেটা বাস্তবায়িত করতে তিনি কতখানি আগ্রহী ছিলেন। আসলে যেকোনো উদ্যম বা পরিকল্পনাকে রবীন্দ্রনাথ সর্বদাই স্বাগত জানাতেন। তাতে সফলতা না আসলেও তিনি হতাশ হতেন না।
কিছুদিন পরে এই গোশালা শান্তিনিকেতন থেকে সুরুলে স্থানান্তরিত করতে হয়েছিল। সন্তোষচন্দ্রের কল্যাণে বিদ্যালয়ের ছাত্রদের দুধের সমস্যার কিছুটা সমাধান হয়েছিল। শুধু ছাত্ররা নয়, আশ্রম এবং আশেপাশের পাড়াগুলির লোকজনও এতে উপকৃত হয়েছিলেন। তবে তা সাময়িক। প্রথমদিকে কিছুটা লাভের মুখ দেখলেও কালক্রমে অর্থ-সংকটের কারণে বিদ্যালয়ের পক্ষে এই গোশালা চালানো অসম্ভব হয়ে উঠেছিল। অবশেষে একদিন রবীন্দ্রনাথের স্বপ্নের গোশালা-প্রকল্প শান্তিনিকেতনের মানচিত্র থেকে বিলীন হয়ে গেল।
রবীন্দ্রনাথের পিতামহ দ্বারকানাথ ঠাকুরের ছিল তীক্ষ্ণ ব্যবসায়িক বোধ। জাহাজ ব্যবসা, রপ্তানি-বাণিজ্য, বীমা, ব্যাংকিং, কয়লা খনি, নীলচাষ, শহরের গৃহ-প্রকল্প, জমিদারি তালুক ইত্যাদি সমস্ত ক্ষেত্রেই তিনি সফলতার শীর্ষে পৌঁছেছিলেন। পুত্র দেবেন্দ্রনাথ সেই ধারাকে রক্ষা করতে পারেন নি। তিনি মূলত জমিদারির আয়তনটিকে বিস্তৃত করে গিয়েছেন। দেবেন্দ্রনাথের ছেলেমেয়েদের মধ্যে কেউই ব্যবসা-মনস্ক ছিলেন না। সাহিত্যসংস্কৃতির প্রতিই ছিল তাদের যাবতীয় আকর্ষণ। একমাত্র ব্যতিক্রম জ্যোতিরিন্দ্রনাথ এবং রবীন্দ্রনাথ। ইচ্ছা ও উৎসাহ থাকা সত্ত্বেও নানা ব্যবসায় প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করেও জ্যোতিরিন্দ্রনাথ সফল হতে পারেন নি। রবীন্দ্রনাথও শিলাইদহ থাকাকালীন আলুচাষ, রেশম, তুলো, তাঁত, গ্রামীণ ব্যংক ইত্যাদি বিভিন্ন ব্যবসা শুরু করেছিলেন। কিন্তু অভিজ্ঞতার অভাব, কর্মচারিদের অসততা আর অবহেলার জন্য প্রতিটা ক্ষেত্রেই তাঁকে লোকসানের মুখে পড়তে হয়েছিল।
শান্তিনিকেতনে সন্তোষের গো-ব্যবসা যখন পড়তির মুখে, তখন রথীন্দ্রনাথ তার ডেয়ারি ফার্মটিকে নিজের দায়িত্বে আরও বড় করবার পরিকল্পনা করেছিলেন। বাধা দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। তিনি তাঁর অভিজ্ঞতা থেকে বুঝতে পেরেছিলেন যে এই ব্যবসার কোন ভবিষ্যৎ নেই। কেবল লোকসানের বোঝাই বইতে হবে। রথীন্দ্রনাথকে লিখেছেন, ‘আয়োজন আড়ম্বর যতই বড় তার সফলতাও ততই বৃহৎ বলে কল্পনা করিস – যতদিন লোকালয়ের হট্টগোলের মধ্যে ছিলুম আমিও এমন ভুল বারবার করেছি, প্রত্যেকবারেই দণ্ড দিয়েছি। অনেক বড় বড় আড়ম্বরের মধ্যে আমি যোগ দিয়েছি – নিজেরা স্বদেশি দোকান করে বিস্তর ক্ষতি করেছি – Indian Stores-এ হাজার টাকা দেনা করে দিয়ে আজ পর্যন্ত অনুতাপ করচি – জাতীয় শিক্ষা পরিষদের ঢাক পিটিয়ে এখন লজ্জা বোধ হচ্চে ; National ফাণ্ডের আমি একজন প্রধান পাণ্ডা ছিলুম বলে নিজেকে অপরাধী মনে করছি। প্রথমেই প্রকাণ্ড করে ফেঁদে যে কিছু আয়োজন হয়েছে প্রত্যেক বারেই সমস্ত দেশ আশান্বিত হয়ে উঠেছে এবং তারপরেই দুর্গতির লজ্জা ভোগ করতে হয়েছে। এখন এই সমস্ত চেষ্টার বিফলতা। স্পষ্ট বুঝতে পেরেছি। এখন আমার মনে আর সন্দেহমাত্র নেই যে, আমাদের দেশে যদি কোনো কাজকে সফল করতে হয়, তবে একলা ছোটরকম করে আরস্ত করে লোকচক্ষুর অগোচরে তাকে ধীরে ধীরে মানুষ করে তোলাই তার প্রকৃষ্ট উপায়।
ডা. পূর্ণেন্দুবিকাশ সরকার
আসলে আমাদের সব চাওয়া পাওয়া হয় না।কবির জীবনেও হয় নি।কিন্তু জীবনের অনেক না পাওয়াকে
সঙ্গী করে নতুন কিছু গড়ার উদ্দ্যমে নিজের মনকে
প্রস্তুত করা এবং তা সফলকাম করে তোলা কবিগুরুর
মতো নিরন্তর কর্মযোগীর পক্ষেই সম্ভব।আজকের লেখায় কবিজীবনের সেই না-পাওয়া একটি প্রয়াসের
ঘটনা জ্ঞাত হওয়া গেল।
শ্রী অমিতাভ সরকার লেখাটার সঠিক মূল্যায়ন করেছেন। ধন্যবাদ।
রবীন্দ্রনাথ সব কাজেই উৎসাহী ছিলেন।কোনো কাজকেই ছোট মনে করতেনঅনা।গো-ব্যবসার ক্ষেত্রেও সেই মানসিকতাই কাজ করেছে।এতে লোকসান হলেও অভিজ্ঞতার দ্বারা সমস্যাগুলো অনুধাবন করতে পেরেছেন।
খুব সুন্দর লেখা।আপনাকে ধন্যবাদ পূর্নেন্দুদা যে,এই তথ্যগুলো জনসমক্ষে তুলে ধরছেন।
ধন্যবাদ দীপান্বিতা, লেখালেখির বাইরে রোজকার রবীন্দ্রনাথের জীবনের এইসব দিকগুলো জেনে অবাক হতে হয়। তখনই চেনা বিচিত্র আর বিশাল মনের এই মানুষটিকে ।
Anek dhanyabaad dr.Sarkar.amar ei tathyaguli pray kichhui jana chhilona.riddho holam.sotti Rabindranath je shudhu lekhak nan aro koto bithitro karmokander je nayak bhable abak hote hoy.tar sange kato knatar jalao je soyechhen ! Kato birat maper manus chhilen!ajker projanmer kachhe ei tathyaguli pouchhe debar ei nirantar prochestar janyo amra apnar kachhe kritango.
You are absolutely right.
রবীন্দ্রনাথ আমাদের জীবনের বনস্পতি। তাঁর ছায়ায় ললিত পালিত আমাদের সমাজ, সাহিত্য , সংস্কৃতি ও চেতনা। গুরুদেবের উন্নত চিন্তাধারার এক নতুন দিগন্ত উনমোচিত হল এই প্রবন্ধর মধ্য দিয়ে। আমরা সমৃদ্ধ হলাম। একটি মামুলি চাকুরির মুখাপেক্ষী হয়ে বসে থাকা মধ্যবিত্ত বাঙালির সঙ্কীর্ণ মানসিকতার মর্মমূলে আঘাত হল গুরুদেবের এই অভিনব প্রয়াস। ধন্যবাদ পূর্ণেন্দুদা।
এখানেই রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে আমাদের তফাৎ। তিনি ভুল থেকে শিক্ষা নেন এবং শিক্ষা দেন। এই গোশালার কর্মকাণ্ড তারই উদাহরণ। সেইজন্যই রথীন্দ্রনাথকে বাধা দিয়েছিলেন। ভুলটাকে তিনি অন্তর দিয়ে বুঝেছিলেন বলেই এই বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছিলেন। আবার নতুন একটা বিষয়ের প্রতি আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। শুধু কবিতার জগতেই তাঁর বিচরণ ছিল না, তিনি বাস্তবের মাটিতে দাঁড়িয়ে সাধারণ মানুষের সাথেও ছিলেন।
ধন্যবাদ পূর্ণেন্দুবাবু।
Notun tothyo pelam. Kato je ajana jinis janachhen amader. Dhonyobad janano tao nagonyo bole bibechito hobe..
গোশালা-র এমনতর উদ্যোগ শ্রীসন্তোষচন্দ্রের, আর স্বয়ং রবীন্দ্রনাথের সহযোগিতা। উদ্দেশ্য আশ্রমবালকদের দুধের চাহিদাপূরণ আর সেইসঙ্গে পরের গোলামী না-করে সন্তোষচন্দ্রকে তাঁর সংসারযাত্রা নির্বাহ ও প্রকারান্তরে দুগ্ধব্যবসায়ে উৎসাহ প্রদান এবং অবশেষে কবির বোধোদয় যে আমাদের দেশে কোনও উদ্যোগকে সফল করতে হলে ছোট রকমে তার একান্ত প্রয়াস করা উচিত। সবমিলিয়ে অন্য এক অজানা রবীন্দ্রনাথকে পেলাম আপনার লেখায়। অভিনন্দন।
আপনার মন্তব্য যথাযত এবং মূল্যবান। শনিবারের ব্লগের লেখা নিয়মিত পড়বার জন্য ধন্যবাদ।