গুরুকুল -২ 3.67/5 (3)

রবীন্দ্রনাথের স্কুলজীবন কখনোই সুখের  ছিল না। কান্নাকাটি করে সত্যপ্রসাদ আর সোমেন্দ্রনাথের সঙ্গে ক্যালকাটা ট্রেনিং স্কুলে ভর্তি হলেও, স্কুলের মোহ প্রথমদিনেই ঘুচে গিয়েছিল। আসলে রবীন্দ্রনাথের শিক্ষার ভিত গড়ে উঠেছিল বাড়ির পরিবেশে, গৃহশিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে। মূল কাণ্ডারী ছিলেন সেজদাদা হেমেন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি স্বেচ্ছায় রবীন্দ্রনাথসহ অন্যান্য ভাইদের, এমনকি ঠাকুরবাড়িতে নবাগত বালিকা গৃহবধূদের পড়াশোনার ভার নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন। আর …

Loading

গুরুকুল 5/5 (5)

রবীন্দ্রনাথের স্কুলজীবন কখনোই সুখের হয় নি। কান্নাকাটি করে সত্যপ্রসাদ আর সোমেন্দ্রনাথের সঙ্গে ক্যালকাটা ট্রেনিং স্কুলে ভর্তি হলেও, স্কুলের মোহ প্রথমদিনেই ঘুচে গিয়েছিল। জীবনস্মৃতিতে লিখেছেন ‘ঘরগুলা নির্মম, ইহার দেয়ালগুলা পাহারাওয়ালার মত – ইহার মধ্যে বাড়ির ভাব কিছুই না, খোপওয়ালা একটা বড়ো বাক্স। কোথাও কোন সজ্জা নাই, রঙ নাই, ছেলেদের হৃদয়কে আকর্ষণ করিবার লেশমাত্র চেষ্টা নাই। ছেলেদের …

Loading

সারস্বত সমাজ 5/5 (5)

সারস্বত সমাজ (১৮৮২) : কলকাতার ৯২ নম্বর বউবাজার স্ট্রীটে বঙ্কিমচন্দ্রের বাড়িটি ছিল তৎকালীন বিশিষ্ট সাহিত্যিকদের মিলন ক্ষেত্র। রবীন্দ্রনাথ তখন সদ্য যৌবনে পা দিয়েছেন। তিনিও মাঝে মাঝে ঐ আসরে উপস্থিত হতেন বঙ্কিমচন্দ্রের সান্নিধ্য লাভের আশায়। আর সেই যোগাযোগের অনুপ্রেরণাতে জ্যোতিরিন্দ্রনাথ আর রবীন্দ্রনাথের উৎসাহে ১৮৮২ সালের চৈত্র মাসে  সারস্বত সমাজের সূচনা হয়েছিল। এর উদ্দেশ্য ছিল কেবলমাত্র সাহিত্যচর্চা …

Loading

খামখেয়ালি সভা 5/5 (6)

শুরুর কথা সম্ভবত ১৮৯২ সালের মাঝামাঝি অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উদ্দ্যোগে জোড়াসাঁকোতে ড্রামাটিক ক্লাব-এর সূচনা হয়েছিল। এর প্রাতিষ্ঠানিক নাম ‘গার্হস্থ্য নাট্যসমিতি’। রবীন্দ্রনাথের সভাপতিত্বে ঠাকুরবাড়ির দশজন সদস্যকে নিয়ে একটা কমিটি গড়ে প্রত্যেকের কাজ নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল। মাসিক চাঁদা ছিল পাঁচ টাকা, কিন্তু এককালীন একশ টাকা দিলে ‘মুরুব্বি সভ্য’ হওয়া যেত। বৈঠকখানা বাড়ির অব্যবহৃত  তোষাখানাটাই ছিল ড্রামাটিক ক্লাবের …

Loading

জোড়াসাঁকো নাট্যশালা 4.44/5 (9)

জোড়াসাঁকো নাট্যশালা উনিশ শতকের প্রথমার্ধ। সূচনা হয়েছে বাংলার নবজাগরণের ইতিহাস। রামমোহন রায়, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, মাইকেল মধুসুদন দত্ত, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, অক্ষয়কুমার দত্ত প্রমুখ একগুচ্ছ যুক্তিবাদী ও মানবতাবাদী মনীষীর  উদ্দ্যোগে বাংলার শিক্ষা-সাহিত্য-রাজনীতির দ্রুত পট পরিবর্তন ঘটতে লাগল। আর সেই কর্মযজ্ঞের অন্যতম কেন্দ্রভূমি ছিল জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি। একের পর এক নতুন নতুন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হতে থাকল কবিতা-গান-প্রবন্ধ-গল্প-সমালোচনা …

Loading

শেষের ক’দিন 4.25/5 (8)

১৯৪১ । ২৫ জুলাই – ৭ আগস্ট ২৫ জুলাই ।  রেলওয়ের স্পেশাল কোচে অসুস্থ রবীন্দ্রনাথকে শান্তিনিকেতন থেকে কলকাতায় নিয়ে আসা হল অপারেশনের জন্য। মহর্ষি ভবনের দোতলার পাথরের ঘরের বিছানায় তাঁর শয্যা পাতা।  শরীর ক্লান্ত । বলছেন, ‘ভালো লাগছে না।’ রানী চন্দ সারাক্ষণ পাশে বসে রয়েছেন, পায়ে হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন।  পাশের ঘরে চলেছে ডাক্তারদের আনাগোনা। ২৬ …

Loading

সখিসমিতি 3.86/5 (7)

সখিসমিতি জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির আর একটি মিলনকেন্দ্র। এই সমিতি গঠনের পিছনে আছে একটি ছোট্ট ইতিহাস । বলা হয় তৎকালীন থিয়োসফিক্যাল আন্দোলনের হাত ধরেই এর শুরু। কর্নেল অলকট, মাদাম ব্লাভাটস্কি  প্রমুখ কয়েকজন থিয়োসফিস্টের উদ্দ্যোগে ১২৮৯ সালে ৬ এপ্রিল দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর, জানকীনাথ ঘোষাল, মোহিনীমোহন চট্টোপাধ্যায়ের সহযোগিতায় কলকাতায় ‘বেঙ্গল থিয়োসফিক্যাল সোসাইটি’র (BTS) সূচনা হয়েছিল। সোসাইটির অধিবেশন বস্‌ত জানকীনাথ ঘোষালের …

Loading

ভাই বোন সমিতি 4.86/5 (7)

ভাই বোন সমিতি উনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময় থেকে বাংলার সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক জগতে যে তুমুল আলোড়ন উঠেছিল, পুরোনো আদর্শ আর ধ্যানধারণাকে পিছনে ফেলে নবজাগরণের যে জোয়ার এসেছিল, তার উৎসকেন্দ্র ছিল জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি। ১৮৩৩ সালে রামমোহন রায়ের মৃত্যুর পরে তাঁর প্রতিষ্ঠিত ‘আত্মীয়সভা’ এবং ‘ব্রাহ্মসমাজ’-এর ব্যাটন হাতে তুলে নিয়েছিলেন দ্বারকানাথ ঠাকুর। বলা যায় তিনিই বাংলার সাহিত্যসংস্কৃতি …

Loading

ঠাকুরবাড়ির ক্লাব কালচার 4.63/5 (8)

ঊনিশ শতকে, ভারতের সেই নবজাগরণের কালে, বাংলার সাহিত্যসংস্কৃতি জগতে যখন তুমুল আলোড়ন উঠেছিল, সেই সময়ে জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে সূচনা হয়েছিল একাধিক ছোটো ছোটো দল বা ক্লাবের। এগুলি আসলে  ঠাকুরবাড়ির সদস্যদের একধরণের  মিলনসভা, যেখানে তাঁরা গান, কবিতা, আলোচনা কিম্বা নাটক পরিবেশনের মাধ্যমে নিজেদের সংস্কৃতিচর্চার আদানপ্রদান ঘটাতেন। এমনই কয়েকটি সভার নাম ‘ভাইবোন সমিতি’, ‘বিদ্বজ্জনসমাগম সভা’, ‘ডাকাতে ক্লাব’, ‘ড্রামাটিক …

Loading

জোনাকির চিঠি 4.5/5 (4)

একটি তারিখহীন চিঠি ‘আমি যখন কলিকাতায় পতিগৃহে, তখন পারিবারিক ও অন্যবিধ অশান্তিতে কাতর হয়ে সাহিত্যের আশ্রয় নিই।  আমি বৈষ্ণবধর্ম গ্রহণ করেছিলাম আমাদের পরিবারের মতের বিরুদ্ধে। এক সময়ে শ্রীবৃন্দাবন-দর্শনে যাবার অনুমতি পাবার জন্য বহু চেষ্টা করেও অনুমতি পেলাম না। সেই উপলক্ষ্যে একটা দারুণ বিক্ষোভ ও অশান্তি চলছিল। বিক্ষুব্ধ মনকে শান্ত করবার জন্য আমি অন্য পথ ধরলাম। …

Loading