গান গেয়েছিলেম No ratings yet.

স্থান শান্তিনিকেতন। একদিন এক রাতে তিনি ডেকে পাঠিয়েছেন এক নবীন সাহিত্যিককে। নবীন তখন মশারির মধ্যে ঘুমের আয়োজনে ব্যস্ত। এদিকে তিনি ডেকে পাঠিয়েছেন, তাই তড়িঘড়ি করে প্রায় দৌড়তে দৌড়তে এসে তাঁর সামনে গিয়ে দাঁড়াতেই তিনি বললেন,‘বোসো’। অনুমতি পেয়ে নবীন সাহিত্যিক তাঁর মুখোমুখি বসলেন। মুখে কোনো কথা নেই তাঁর।তিনি ফের বললেন,‘তুমি আমার গান শুনবে?’একথা শুনে নবীন সাহিত্যিক খুবই আশ্চর্য …

Loading

Tagore, You May Know No ratings yet.

Rabindranath Tagore is about ‘Where the mind is without fear and the head is held high…Where words come from the depth of truth’ etc.  It is not Mr. Amir Khan alone who thinks this.  So does, in fact, everyone else who has read him in any language.  Well, these lines are something worthwhile for a …

Loading

ভবতারিণী থেকে মৃণালিনী No ratings yet.

যশোরের ফুলতলি গ্রামের মেয়ে দশবছরের ভবতারিনীর ডাকনাম ফুলির বিবাহ হল ১২৯০ বঙ্গাব্দে ২২ বছরের তরুণ কবি বাবু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে। অসাধারণ রূপবান, য়ুরোপ ঘুরে এসেছেন এবং আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত প্রগতিশীল স্বদেশী ও বিদেশী সুন্দরীদের সান্নিধ্যও হয়েছে। বনফুল, ভগ্নহৃদয়, য়ুরোপ প্রবাসীর পত্র রচয়িতা রবীন্দ্রনাথ। ভানুসিংহের পদাবলী রচনাও সমাপ্ত। ভবতারিনীর সামান্য শিক্ষা গ্রামের পাঠশালায়। বিয়ের সময়েই হল …

Loading

শেষ গানেরই রেশ No ratings yet.

১৩৪৭ সালের শেষলগ্নে অসুস্থ রবীন্দ্রনাথ রয়েছেন শান্তিনিকেতনে। দিন কাটছে রোগশয্যায়, কখনো কেদারায়, কখনো বিছানায়। এক নাগাড়ে বেশীক্ষণ কথা বলতে পারছেন না, নিজের হাতে লেখালেখিও প্রায় বন্ধ। অথচ তখনও চলছে তাঁর বিচিত্র সাহিত্যসৃষ্টির কাজ। রচনা করেছেন রোগশয্যায় (৫ পৌষ ১৩৪৭), জন্মদিনে (১ বৈশাখ ১৩৪৮), গল্পসল্প (২৭ বৈশাখ ১৩৪৮) ইত্যাদি কাব্যগ্রন্থ। এরই মধ্যে শুরু হল নববর্ষ আর …

Loading

অনিচ্ছার গান No ratings yet.

বয়স যখন কম ছিল, যখন স্বরযন্ত্রের অত্যাধিক অত্যাচারে তাঁর সুমিষ্ট কণ্ঠস্বর নষ্ট হয়নি, সেই সময়ে রবীন্দ্রনাথকে নানা সভা এবং অনুষ্ঠানে জনতার আবেদনে গান গাইতে হত। বরং বলা যায় তাঁর গান শোনবার জন্যই বোধহয়  সেইসব সভায় ভীড় জমাতেন সমস্ত শ্রেণীর মানুষ। রবীন্দ্রনাথ সেটি জানতেন, তাই সবসময়ে তাঁর পকেটে থাকত একটা ছোট্টো গানের নোটবুক। গান গাইবার জন্য …

Loading

কিশোরী প্রেম No ratings yet.

পরপর পাঁচটা স্কুল বদলিয়েও যখন মন বসানো গেল না তখন অভিভাবকরা রবিকে বিলেতে ব্যারিস্টারি পড়তে পাঠাবার তোড়জোড় শুরু করলেন। ব্যারিস্টারি ছিল সেকালের সবচেয়ে আকর্ষণীয় পেশা। অভিভাব্কেরা ভেবেছিলেন, একদম মুর্খ  হয়ে থাকবার চাইতে ব্যারিস্টারি পাশ করলে, কিছু উপার্জন করে অন্তত নিজের জীবনটা চালাতে পারবেন দেবেন্দ্রনাথের ছোটো ছেলে রবি। তাঁরা স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেন নি সেই রবি …

Loading

ছবির গান No ratings yet.

শিল্পীর আঁকা ছবিকে কেন্দ্র করে গান রচনা রবীন্দ্রনাথের সৃজনক্ষমতার একটি বিশেষ প্রকাশ। অসিতকুমার হালদারের আঁকা সরস্বতীর ছবি ‘দিব্যপ্রজ্ঞা’ দেখে লিখেছেন ‘তুমি যে সুরের আগুন লাগিয়ে দিলে মোর প্রাণে’ (৭ এপ্রিল ১৯১৪) গানটি। আবার নন্দলাল বসুর ‘দীক্ষা’ ছবির বিষয়কে নিয়ে রচনা করেছেন পূজা পর্যায়ের ‘নিভৃত প্রাণের দেবতা’ (১ জানুয়ারি ১৯১০) গানটি। তেমনই ‘ওগো বধূ সুন্দরী’ গানের …

Loading

তৃষ্ণার জল 5/5 (1)

গ্রীষ্মকালে শান্তিনিকেতনে অসম্ভব জলকষ্ট হত। নদীনালা মাঠঘাট শুকিয়ে, এমনকি সামান্য পানের জলটুকুও পাওয়া যেত না। আশ্রমবাসীদের কষ্টে কাতর রবীন্দ্রনাথ সবসময়ে চিন্তা করতেন কিভাবে এর সমাধান করা যায়। নানা সূত্র থেকে তিনি জানতে পারলেন যে, একমাত্র টিউবওয়েলের সাহায্যেই মাটির নীচ থেকে জল তুলে আনা সম্ভব। আর সেই জলই মানুষের তৃষ্ণা দূর করতে পারবে। কিন্তু তখনও পর্যন্ত …

Loading

মনের কথা No ratings yet.

ওলো সই আত্মীয়স্বজনে পূর্ণ কলরবমুখরিত বৃহৎ একান্নবর্তী পরিবারের কনিষ্ঠা বধূ হিসাবে নয় বছরের বালিকা ভবতারিণী (মৃণালিণী) যেদিন জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে পা রেখেছিলেন, সেদিন ভাবতেও পারেন নি যে অচিরেই এই বিশাল মহীরুহের দায়িত্ব নিতে হবে তাঁকেই।  ঠাকুরবাড়ির ঐতিহ্যে অনুসারে বেশ কয়েক বছর প্রথাগত শিক্ষা ও শহুরে আদবকায়দা রপ্ত করবার পরে গৃহিণীত্বের  ভার পেয়ে মৃণালিণী ভীষণ খুশি। তিনি …

Loading

আসবে যদি বিজন ঘরে No ratings yet.

আজি বিজন ঘরে নিশীথ রাতে আসবে যদি ১৯১৮ সালের প্রথম থেকেই রবীন্দ্রনাথের শরীর খুবই খারাপ। তারই মধ্যে শুরু হয়ে গেল মাঘোৎসবের প্রস্তুতি। আশ্রমের ছাত্রদের অসুবিধার কথা ভেবে এই বছরের উৎসব শান্তিনিকেতনেই অনুষ্ঠিত (২৪ জানুয়ারি) হয়েছিল। তাই অসুস্থতা ও দুর্বলতা সত্ত্বেও মাঘোৎসবে যোগ দেবার জন্য জানুয়ারি মাসের ২২ তারিখে রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনে চলে আসেন। এর মধ্যে প্রচুর …

Loading