রবীন্দ্রনাথের ব্র্যাণ্ড ভ্যালু No ratings yet.

‘গলানো সোনা আঠাশ টাকা’ – কয়েক দশক আগে তেলের বিজ্ঞাপনের এই চারটি বাক্য সারা দেশে আলোড়ন তুলেছিল। বিজ্ঞাপনের মুনশিয়ানাই যেকোনো পণ্যের বাজার-সাফল্যের চাবিকাঠি। পণ্য উৎপাদকেরা কোটি কোটি টাকা খরচ করে চলেছেন বিজ্ঞাপন-গবেষণায়। তাই আজ বিজ্ঞাপনের মুখ হয়ে উঠেছে বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব, বিনোদন জগতের নায়ক নায়িকা, খেলোয়াড়, এমনকি ছোটো ছোটো ছেলেমেয়েরাও। তাদের মুখের পণ্যের গুণাগুণ বাজারের চাহিদাকে …

Loading

রবির স্কুলবেলা 5/5 (3)

পৌনে চার বছরের বাচ্চাটা হাপুস নয়নে কেঁদেই সারা। নতুন জামাকাপড় পরে দাদারা স্কুলে চলেছে। আনন্দে তাদের চোখমুখ ঝলমল করছে। খুদেটার বায়না, সেও স্কুলে যাবে দাদাদের সঙ্গে। বড়দের হাজার নিষেধেও তাকে ঠেকানো গেলনা। অগ্যতা …. । হ্যাঁ, তিনিই রবীন্দ্রনাথ, এত কান্নাকাটির পরেও যাঁর স্কুলজীবন মোটেই সুখের হয়নি কোনোদিন। তাঁর কথায়, ‘ঘরগুলা নির্মম, ইহার দেয়ালগুলা পাহারাওয়ালার মত …

Loading

রামগড়ের গান No ratings yet.

১৩২১ সালের বৈশাখের তাপদগ্ধে কাতর রবীন্দ্রনাথ একটু আরামের খোঁজে পাহড়ে যাওয়া মনস্থির করলেন। পাহাড়ের প্রতি টান ঠাকুর পরিবারের মজ্জাগত। দেবেন্দ্রনাথ জীবনের অনেকটাই পাহাড়ে কাটিয়েছেন। সংসারের কোলাহল এড়িয়ে ভ্রমণ করতে ভালবাসতেন, বহুবার হিমালয় ভ্রমণ করেছেন। হিমালয় ছিল তাঁর ঈশ্বরসাধনার আশ্রম। রবীন্দ্রনাথকে পাহাড়ের নেশা ধরিয়েছেন  স্বয়ং দেবেন্দ্রনাথ। ১৮৭৩ সালে তিনি সেই যে ১২ বছরের পুত্রকে হিমালয় ভ্রমণের …

Loading

রবীন্দ্রনাথের কন্যাদায় No ratings yet.

রবীন্দ্রনাথের কন্যাদায় সাল ১৯০১, একত্রিশ বছরের যুবক রবীন্দ্রনাথ। তখনই বাংলা সাহিত্য সংস্কৃতি জগতের অন্যতম নক্ষত্র। রচনা করে ফেলেছেন পাঁচ শতাধিক রবীন্দ্রসংগীত, দশটি কাব্যগ্রন্থ, একাধিক নাটক, উপন্যাস, ছোটো গল্প, অসংখ্য প্রবন্ধ। দু’বার ঘুরে এসেছেন বিলেত। সামলাচ্ছেন শিলাইদহের জমিদারি। প্রতিষ্ঠা করতে চলাছেন শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মাচর্যাশ্রম। দুই পুত্র আর তিন কন্যার জনক। বাংলার শিক্ষিত-সমাজ তাঁকে নিয়ে আলোড়িত। আভিজাত্যপূর্ণ জোড়াসাঁকো …

Loading

হামচুপামূহাফ 5/5 (1)

হামচুপামূহাফ ১৮৭৫ সালের জুলাই মাস। সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় বিলেত থেকে ফিরেছেন ব্যারিষ্টার হয়ে। সেই সময়ে ব্যারিস্টারী ছিল অত্যন্ত আকর্ষণীয় আর অর্থকরী পেশা। কিন্তু সেই মোহ ত্যাগ করে তিনি ঝাঁপিয়ে পড়লেন তরুণসমাজকে স্বদেশচেতনায় উদ্বুদ্ধ করবার কাজে। সঙ্গে পেলেন আনন্দমোহন বসু, যোগেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ ও আরও কয়েকজনকে। তাঁদের বক্তৃতায়, ইতালিকে অস্ট্রিয়ার-শাসন থেকে  মুক্ত করবার জন্য কার্বোনারি-সম্প্রদায় প্রতিষ্ঠিত গুপ্তসমিতির কার্যকলাপ …

Loading

ভরসামঙ্গল No ratings yet.

ভরসামঙ্গল শ্রাবণ মাসের ৩০ তারিখে অনুষ্ঠিত হবে বর্ষামঙ্গল উৎসব, শান্তিনিকেতনে। সেবার কবির শরীর বেশ খারাপ। কিন্তু প্রিয় বর্ষা ঋতুর আগমনে কবির চাতক-হৃদয় বিমুখ থাকতে পারে না, জেগে ওঠে গানের সুর। আর বর্ষামঙ্গল উৎসবের সার্থকতা তো তাঁর গানের নিবেদনেই। তাই অসুস্থতার মধ্যেও রচনা করে ফেললেন চারটি গান। শুরু হয়ে গেল বর্ষামঙ্গলের রিহার্সাল। উদয়নের পশ্চিম বারান্দা প্রতিদিন …

Loading

রুষ্ট কবির গান No ratings yet.

১৯১৪ সালের অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহ। রবীন্দ্রনাথের গীতালি কাব্যগ্রন্থের রচনাগুলির কাজ চলছে। চারুচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় শান্তিনিকেতনে এসেছেন গীতালির কবিতাগুলি কপি করে নেবার জন্য। চিত্রশিল্পী অসিতকুমার হালদারও রয়েছেন শান্তিনিকেতনে।  একদিন গল্পচ্ছলে অসিতবাবু বললেন,  ‘চলো গয়া বেড়িয়ে আসি’। প্রস্তাবটা মনে ধরল চারুচন্দ্রের, রাজি হয়ে গেলেন সাথেসাথে। কথাটা কানে যেতেই রবীন্দ্রনাথের জামাতা নগেন্দ্রনাথ জানালেন তিনিও যাবেন। শুনে হেমলতা দেবী …

Loading

রবির গানই নাটকের প্রাণ No ratings yet.

১৮৮২ বঙ্গাব্দের কার্তিক মাসের শেষ সপ্তাহ। বাতাসে হালকা শীতের আভাস। জোড়াসাঁকোর বাড়িতে নিজের পড়বার ঘরে ১৪ বছরের এক বালক নিবিষ্টমনে বইয়ের পাতা উল্টাচ্ছিল। কিন্তু বারবার তার মনোযোগ বিঘ্নিত হচ্ছে পাশের ঘর থেকে ভেসে আসা উচ্চস্বরে একটি কণ্ঠের কিছু সংলাপে। সঙ্গে ছিল মৃদুস্বরের অন্য কন্ঠ। উচ্চকণ্ঠটি ছিল রামসর্বস্ব পণ্ডিতের, বালকটির সংস্কৃত শিক্ষক, মৃদুকণ্ঠটি মেজদাদা জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের। …

Loading

প্রথম গানেই বিতর্ক No ratings yet.

জোড়াসাঁকোর তেতলার ঘরে পিতা দেবেন্দ্রনাথ আরামকেদারায় বসে রয়েছেন, সামনে নতমুখে দাঁড়িয়ে  বালক রবীন্দ্রনাথ।  মুণ্ডিতমস্তক। মাত্র চারদিন আগেই তাঁর উপনয়ন হয়েছে । আর সেই কারণেই মাথার এই অবস্থা। ভ্রমণ পিপাসু দেবেন্দ্রনাথ বহুবার হিমালয়ে গিয়েছেন, আবারও যেতে চলেছেন। জানতে চান রবীন্দ্রনাথ এবারে তাঁর সঙ্গী হতে চায় কিনা। ঘটনাটা ১৮৭৩ সালের ১০ই ফেব্রুয়ারি। বালকের বয়স মাত্র ১২ বছর। …

Loading

সবার রবীন্দ্রনাথ No ratings yet.

রবীন্দ্রনাথকে নিয়েই আমাদের পথ চলা। প্রতি মুহূর্তে তিনি আমাদের এগিয়ে চলবার প্রেরণা, দুঃখকে জয় করবার আশ্বাস আর জীবনকে উপভোগ করবার মন্ত্র। তাঁর গান শুনে আমাদের দিন শুরু হয় আর দিন শেষ হয় সেই গানের সুরেই। আমি পেশায় চক্ষু চিকিৎসক। সারাটা দিন কেটে যায় অসংখ্য রোগীর চোখের চিকিৎসা আর অপারেশনের ব্যস্ততায়। কিন্তু আমি অনুভব করি তিনি …

Loading