শঙ্খদা 4.8/5 (5)

আজ শঙ্খদার জন্মদিনে আমার স্মৃতিচারণা   আগে আমার নাম ছিল পূর্ণেন্দু বিকাশ সরকার।  শঙ্খদা বললেন, ‘ওটা পূর্ণেন্দুবিকাশ করে দিন’। আমি একটু খুঁৎখুঁৎ করেছিলাম। শঙ্খদা বললেন, ‘ওটাই থাক’। সেই থেকে আমি  পূর্ণেন্দুবিকাশ সরকার। ততদিনে এই বিশাল মানুষটির সান্নিদ্ধের জড়তা আমার অনেকটাই কেটে গিয়েছে। প্রথম দিকে, মানে ২০০৪ সাল নাগাদ, এমনটা ছিল না। চিকিৎসক হিসাবে আমার জগৎ …

Loading

মুমূর্ষু ভক্তের শিয়রে রবি 4.4/5 (5)

রবীন্দ্রনাথের দীর্ঘ জীবনে মৃত্যুর আঘাত বারেবারে ঢেউয়ের মত আছড়ে পড়েছে। তাঁর সঙ্গে মৃত্যুর সম্পর্ক এতই নিবিড় যে পারিবারের বাইরেও বেশ কয়েকজন অনাত্মীয় গুণগ্রাহী মানুষের শেষ শয্যার শিয়রে এসে দাঁড়াতে হয়েছে রবীন্দ্রনাথকে।  এই মানুষগুলি মৃত্যুর আগে তাদের একান্ত মনের মানুষটিকে একবার শেষ দেখা দেখতে চেয়েছেন, চেয়েছেন তাঁর গান আর কথা শুনে যন্ত্রণাক্লিষ্ট শরীরে একটু শান্তির পরশ …

Loading

একটি স্বর্গীয় নির্দেশ 5/5 (11)

একটি স্বর্গীয় নির্দেশ উদ্দোগী শিল্পপতি, সপ্তদশ শতাব্দীর অন্যতম সফল পুরুষ দ্বারকানাথ ঠাকুর ব্যবসা বাণিজ্য এবং সম্পদ সৃষ্টিতে সাফল্যের শিখর স্পর্শ করেছিলেন। কিন্তু তাঁর পাঁচ পুত্রের কেউই এই সম্পদ ধরে রাখা বা বৃদ্ধির দিকে মনোযোগ দেন নি। দ্বারকানাথের জ্যেষ্ঠ পুত্র দেবেন্দ্রনাথ কিছুদিন হিন্দু কলেজে পড়াশুনা করলেও পিতার নির্দেশে কিশোর বয়সেই ইউনিয়ন ব্যাঙ্কের কাজে যোগ দিতে বাধ্য …

Loading

জলের খোঁজে রবীন্দ্রনাথ 3.67/5 (6)

মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৬৩ সালে রায়পুরের জমিদার প্রতাপনারায়ন সিংহের কাছ থেকে বোলপুরের ভুবনডাঙায় কুড়ি বিঘে জমির পাট্টা নিয়ে শান্তিনিকেতন পত্তন করেছিলেন। সেই অনন্ত আকাশের নীচে দিগন্ত প্রসারিত প্রান্তরে ছিল কেবল দুটি ছাতিমগাছ, গুটিকয়েক তালগাছ আর চারিদিকে তরঙ্গায়িত ধূসর রুক্ষ মাঠ। কোথাও সবুজের আভাসমাত্র ছিল না। ধীরে ধীরে সেখানে মানুষের আনাগোনা বাড়ল, বসতি স্থাপন হল, বসানো …

Loading

লরেন্স সাহেবের গুটিপোকা 4.75/5 (4)

লরেন্স সাহেবের গুটিপোকা ভাগ্যলক্ষ্মী সবার কপালে ব্যবসার জয়তিলক এঁকে দেন না, যেমন দেননি রবীন্দ্রনাথের কপালে। পিতামহ দ্বারকানাথের ব্যবসায়িক সাফল্য খ্যাতির চূড়া স্পর্শ করলেও তাঁর কোনো বংশধর সেই ধারা বজায় রাখতে পারেন নি। মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ছিলেন আধ্যাত্মিক জগতের মানুষ। কিন্তু সংসারের প্রতি দ্বায়বদ্ধতায় তাঁর কোনো ত্রুটির ছিল না। দ্বারকানাথের হাতে গড়া কোনো ব্যবসার হাল তিনি ধরেন …

Loading

ছাতু মাখিয়ে রবীন্দ্রনাথ 4.33/5 (27)

ছাতু মাখিয়ে রবীন্দ্রনাথ  ও রমণীচরিত্র প্রসিদ্ধ কবি, লেখক এবং উপন্যাসিক মৈত্রেয়ী দেবী ছিলেন রবীন্দ্রনাথের অত্যন্ত স্নেহের পাত্রী। তাঁর লেখা অন্যতম উপন্যাস ‘ন হন্যতে’ তাঁকে বিশেষ খ্যাতি এনে দিয়েছিল। মৈত্রেয়ী দেবী মংপুতে থাকাকালীন রবীন্দ্রনাথ শেষ জীবনে, ১৯৩৮ থেকে ১৯৪০ সালের মধ্যে চারবার তাঁর আতিথ্য গ্রহন করেছিলেন। মৈত্রেয়ী দেবী সেই দিনগুলির অভিজ্ঞতা লিপিবদ্ধ করেছেন তাঁর লেখা ‘মংপুতে রবীন্দ্রনাথ’ গ্রন্থে। ১৯৪০ সাল। রবীন্দ্রনাথ  রয়েছেন …

Loading

রবির চিঠি মৃণালিনীকে (শেষ পর্ব) No ratings yet.

১৮৯২ সালের জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে রবীন্দ্রনাথ শিলাইদহে এসে পৌঁছেছেন।  রয়েছেন মনের আনন্দে, চলছে নতুন নতুন সৃষ্টির কাজ। তারই মধ্যে ২৭ জুন একটা প্রলয়ঙ্কর ঝড়ের পূর্বাভাষ পেয়ে ২৬ জুন (পত্র ১০) মৃণালিনীকে ‘তিনতলা থেকে দোতলায় নেমে আসতে’ পরামর্শ দিয়েছেন। প্রিয়জনদের জন্য ভালোবাসা মেশানো উদ্বেগ থেকে বোঝা যায় ‘কাব্য পড়ে যেমন ভাবো কবি তেমন নয় গো’। …

Loading

রবির চিঠি মৃণালিনীকে No ratings yet.

একটা সময় দূরের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ছিল চিঠি। ডাক-পিয়নের সাইকেলের ঘণ্টি আর ‘চিঠি আছে’ হাঁক শোনবার জন্য সকাল থেকেই অধীর প্রতীক্ষার কথা এখনও অনেকেরই মনে আছে। প্রিয়জনের কাছ থেকে আসা চিঠি বয়ে আনত দূরের সুবাস। মামুলি কথা বা সাধারণ খবরাখবরের জন্য ছিল পোষ্টকার্ড। একটু বেশি লেখবার জন্য ইনল্যাণ্ড আর মনের কথা উজাড় করে …

Loading

যাত্রাপথের বিদেশিনীরা (শেষ পর্ব) No ratings yet.

ফিরতি পথ টেমস জাহাজ ফিরতি পথে টেমস জাহাজ ছাড়ল ৯ অক্টোবর। এই জাহাজে যাত্রীদের ভীড় অনেক বেশী।  রবীন্দ্রনাথের কথায়, ‘নিরিবিলি কোণে  চৌকি টেনে যে একটু লিখব তার জো নেই, সুতরাং  সম্মুখে যা-কিছু চোখে পড়ে তাই চেয়ে দেখি।’  জাহাজে বাঙালি যাত্রী না থাকায় রবীন্দ্রনাথ বিদেশী নরনারীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার সুযোগ পেয়েছেন অনেক বেশী। সহযাত্রী য়ুরোপীয় মহিলাদের চোখ …

Loading

যাত্রাপথের বিদেশিনীরা No ratings yet.

য়ুরোপ-প্রবাসীর পত্রে রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন, ‘আমি স্বভাবতই ‘লেডি’ জাতিকে বড়ো ডরাই। তাঁদের কাছে ঘেষতে গেলে এত প্রকার বিপদের সম্ভাবনা যে, চাণক্য পণ্ডিত থাকলে লেডিদের কাছ থেকে দশ সহস্র হস্ত দূরে থাকতে পরামর্শ দিতেন। এক তো মনোরাজ্যে নানা- প্রকার শোচনীয় দুর্ঘটনা ঘটবার সম্ভাবনা—তা ছাড়া সর্বদাই ভয় হয় পাছে কী কথা বলতে কী কথা বলে ফেলি, আর আমাদের …

Loading