খামখেয়ালি সভা 5/5 (6)

শুরুর কথা সম্ভবত ১৮৯২ সালের মাঝামাঝি অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উদ্দ্যোগে জোড়াসাঁকোতে ড্রামাটিক ক্লাব-এর সূচনা হয়েছিল। এর প্রাতিষ্ঠানিক নাম ‘গার্হস্থ্য নাট্যসমিতি’। রবীন্দ্রনাথের সভাপতিত্বে ঠাকুরবাড়ির দশজন সদস্যকে নিয়ে একটা কমিটি গড়ে প্রত্যেকের কাজ নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল। মাসিক চাঁদা ছিল পাঁচ টাকা, কিন্তু এককালীন একশ টাকা দিলে ‘মুরুব্বি সভ্য’ হওয়া যেত। বৈঠকখানা বাড়ির অব্যবহৃত  তোষাখানাটাই ছিল ড্রামাটিক ক্লাবের …

Loading

জোড়াসাঁকো নাট্যশালা 4.44/5 (9)

জোড়াসাঁকো নাট্যশালা উনিশ শতকের প্রথমার্ধ। সূচনা হয়েছে বাংলার নবজাগরণের ইতিহাস। রামমোহন রায়, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, মাইকেল মধুসুদন দত্ত, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, অক্ষয়কুমার দত্ত প্রমুখ একগুচ্ছ যুক্তিবাদী ও মানবতাবাদী মনীষীর  উদ্দ্যোগে বাংলার শিক্ষা-সাহিত্য-রাজনীতির দ্রুত পট পরিবর্তন ঘটতে লাগল। আর সেই কর্মযজ্ঞের অন্যতম কেন্দ্রভূমি ছিল জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি। একের পর এক নতুন নতুন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হতে থাকল কবিতা-গান-প্রবন্ধ-গল্প-সমালোচনা …

Loading

শেষের ক’দিন 4.25/5 (8)

১৯৪১ । ২৫ জুলাই – ৭ আগস্ট ২৫ জুলাই ।  রেলওয়ের স্পেশাল কোচে অসুস্থ রবীন্দ্রনাথকে শান্তিনিকেতন থেকে কলকাতায় নিয়ে আসা হল অপারেশনের জন্য। মহর্ষি ভবনের দোতলার পাথরের ঘরের বিছানায় তাঁর শয্যা পাতা।  শরীর ক্লান্ত । বলছেন, ‘ভালো লাগছে না।’ রানী চন্দ সারাক্ষণ পাশে বসে রয়েছেন, পায়ে হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন।  পাশের ঘরে চলেছে ডাক্তারদের আনাগোনা। ২৬ …

Loading

সখিসমিতি 3.86/5 (7)

সখিসমিতি জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির আর একটি মিলনকেন্দ্র। এই সমিতি গঠনের পিছনে আছে একটি ছোট্ট ইতিহাস । বলা হয় তৎকালীন থিয়োসফিক্যাল আন্দোলনের হাত ধরেই এর শুরু। কর্নেল অলকট, মাদাম ব্লাভাটস্কি  প্রমুখ কয়েকজন থিয়োসফিস্টের উদ্দ্যোগে ১২৮৯ সালে ৬ এপ্রিল দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর, জানকীনাথ ঘোষাল, মোহিনীমোহন চট্টোপাধ্যায়ের সহযোগিতায় কলকাতায় ‘বেঙ্গল থিয়োসফিক্যাল সোসাইটি’র (BTS) সূচনা হয়েছিল। সোসাইটির অধিবেশন বস্‌ত জানকীনাথ ঘোষালের …

Loading

ভাই বোন সমিতি 4.86/5 (7)

ভাই বোন সমিতি উনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময় থেকে বাংলার সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক জগতে যে তুমুল আলোড়ন উঠেছিল, পুরোনো আদর্শ আর ধ্যানধারণাকে পিছনে ফেলে নবজাগরণের যে জোয়ার এসেছিল, তার উৎসকেন্দ্র ছিল জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি। ১৮৩৩ সালে রামমোহন রায়ের মৃত্যুর পরে তাঁর প্রতিষ্ঠিত ‘আত্মীয়সভা’ এবং ‘ব্রাহ্মসমাজ’-এর ব্যাটন হাতে তুলে নিয়েছিলেন দ্বারকানাথ ঠাকুর। বলা যায় তিনিই বাংলার সাহিত্যসংস্কৃতি …

Loading

ঠাকুরবাড়ির ক্লাব কালচার 4.63/5 (8)

ঊনিশ শতকে, ভারতের সেই নবজাগরণের কালে, বাংলার সাহিত্যসংস্কৃতি জগতে যখন তুমুল আলোড়ন উঠেছিল, সেই সময়ে জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে সূচনা হয়েছিল একাধিক ছোটো ছোটো দল বা ক্লাবের। এগুলি আসলে  ঠাকুরবাড়ির সদস্যদের একধরণের  মিলনসভা, যেখানে তাঁরা গান, কবিতা, আলোচনা কিম্বা নাটক পরিবেশনের মাধ্যমে নিজেদের সংস্কৃতিচর্চার আদানপ্রদান ঘটাতেন। এমনই কয়েকটি সভার নাম ‘ভাইবোন সমিতি’, ‘বিদ্বজ্জনসমাগম সভা’, ‘ডাকাতে ক্লাব’, ‘ড্রামাটিক …

Loading

জোনাকির চিঠি 4.5/5 (4)

একটি তারিখহীন চিঠি ‘আমি যখন কলিকাতায় পতিগৃহে, তখন পারিবারিক ও অন্যবিধ অশান্তিতে কাতর হয়ে সাহিত্যের আশ্রয় নিই।  আমি বৈষ্ণবধর্ম গ্রহণ করেছিলাম আমাদের পরিবারের মতের বিরুদ্ধে। এক সময়ে শ্রীবৃন্দাবন-দর্শনে যাবার অনুমতি পাবার জন্য বহু চেষ্টা করেও অনুমতি পেলাম না। সেই উপলক্ষ্যে একটা দারুণ বিক্ষোভ ও অশান্তি চলছিল। বিক্ষুব্ধ মনকে শান্ত করবার জন্য আমি অন্য পথ ধরলাম। …

Loading

মৃত্যুমিছিল ৩ 5/5 (4)

  বীরেন্দ্রনাথ ঠাকুর (১১ নভেম্বর ১৮৪৫ – ১০ মে ১৯১৫) দেবেন্দ্রনাথের চতুর্থ সন্তান বীরেন্দ্রনাথ ঠাকুরের অসাধারণ বুৎপত্তি  ছিল অঙ্কশাস্ত্রে। ১৮৬৪ সালে তাঁর উন্মাদরোগের  লক্ষণ দেখা দেয়। অনেকের ধারণা অতিরিক্ত অঙ্ক-চর্চাই ছিল এর কারণ। ১৮৬৯ সালে তাঁকে আলিপুরের অ্যাসাইলামে ভর্তি করতে হয়েছিল। হাসপাতাল থেকে ফিরে আসবার পরে পুত্র বলেন্দ্রনাথের জন্ম হয়। কোনো অজানা কারণে ঠাকুর পরিবার …

Loading

মৃত্যু মিছিল ২ 5/5 (1)

দ্বিতীয় পর্ব বলেন্দ্রনাথ ঠাকুর (৬ নভেম্বর ১৮৭০ – ১৯ আগস্ট ১৮৯৯) বীরেন্দ্রনাথের একমাত্র পুত্র বলেন্দ্রনাথের জন্মের সময়ে কিছু জটিলতার সৃষ্টি হয়েছিল। সম্পর্কে ভ্রাতুষ্পুত্র বলেন্দ্রনাথ রবীন্দ্রনাথের বিশেষ  প্রীতিভাজন ছিলেন। বলেন্দ্রনাথ ‘ঠাকুর এন্ড কার কোম্পানীর’ অন্যতম অংশীদার ছিলেন। এছাড়া ‘বালক’ পত্রিকার সম্পাদনা, ব্রাহ্মসমাজের নানা দায়িত্ব পালন ইত্যাদির পরিশ্রম ও দুশ্চিন্তায় দুর্বল স্বাস্থ্য বলেন্দ্রনাথ ক্রমেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। …

Loading

মৃত্যুমিছিল 4.73/5 (11)

মৃত্যুর করাল ছায়া কবির সুদীর্ঘ জীবনে বারবার আঘাত হেনেছে। শোক যেন তাঁর নিত্য সহচর। মাত্র চোদ্দ বছর বয়সে মায়ের মৃত্যু রবীন্দ্রনাথের মনে প্রথম শোকের ছবি এঁকেছিল, তারপর অসংখ্য পারিবারিক  মৃত্যু ঢেউয়ের মত  তাঁর জীবনে আছড়ে পড়েছে।  প্রথম যৌবনে মৃত্যুর আঘাতগুলিতে তিনি উদ্ভ্রান্ত, অস্থির হয়ে উঠতেন, তাঁর জীবন হয়ে যেত এলোমেলো দিশাহীন। জীবনকে আটকে রাখা যাবে …

Loading